কল্পনাতীত রাষ্টপতি

আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ‘মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু’। রোববার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নিজের সই করা মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানতে চাইলে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, ‘সবই আল্লাহর ইচ্ছা।’ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হতে যাচ্ছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
এদিকে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দেখা করেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। মনোনয়ন পাওয়ার পর দলের এই উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানাও ছিলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিল্পব বড়ুয়া। মনোনয়ন পত্রে প্রস্তাবক হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং সমর্থক হিসেবে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ স্বাক্ষর করেন।
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন পেশায় একজন আইনজীবী এবং বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের একজন সদস্য। তিনি ১৯৪৯ সালে পাবনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইতঃপূর্বে জেলা, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একজন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাহাবুদ্দিন চুপ্পু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, তিনি ১৯৭১ সালে পাবনা জেলায় স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামাত জোটের নেতাকর্মীদের সংঘটিত হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন এবং মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অনুসন্ধানে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ছাত্র জীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে সংঘটিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কারা বরণ করেন। তিনি আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্র সন্তানের পিতা এবং তার স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব ছিলেন। একমাত্র সন্তান মো. আরশাদ আদনান (রনি) দেশে ও বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বর্তমানে প্রাইম ব্যাংকের উচ্চপদে কর্মরত।
সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৯৫ ও ১৯৯৬ সালে পরপর দুইবার বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব নির্বাচিত হন। পেশাগত জীবনে প্রথম দিকে সাংবাদিকতাও করেছেন। তিনি পাবনা প্রেসক্লাব ও অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির আজীবন-সদস্য। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হলে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে সামরিক আইন বলে গ্রেপ্তার করে অমানসিক নির্যাতন করা হয়। কারাভোগের পর মুক্ত হলে তিনি পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিশ্বব্যাংকের পদ্মাসেতু সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে অন্যতম মূখ্য ভূমিকা পালন করা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু অভিযোগটি মিথ্যা ও অন্তঃসারশূন্যতা প্রমাণে সমর্থ হন। তার প্রেরিত তদন্ত প্রতিবেদন কানাডা কোর্ট কর্তৃক সমর্থিত হয়।
এমএসএম / এমএসএম

২০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও সোয়ান ফ্যান

সকল অপকর্মে ছাত্রলীগ

জামায়াতের ডোনার নুরুল ইসলাম এখন আ’লীগার

কথা বললেই মামলা

সবুজ-মলির অঢেল সম্পদ

রাজউক অসহায় অবৈধ ভবন নির্মাণ বন্ধে

অস্তিত্বহীন নোমান নিট কম্পোজিট মিলস লিমিটেড

বাঙালির ‘অমর একুশে’

পিএ সোহেল রানার বিরুদ্ধে দুর্নীতি অত্যাচারের অভিযোগ

ডিম-মুরগি আমদানির চিন্তা

পাত্তা পাচ্ছে না ‘গুজব’

কল্পনাতীত রাষ্টপতি
