নিরবচ্ছিন্ন প্রচারণায় মোহসিন মাঠে নেই শফিকুল
প্রকাশিত: ২৫-৫-২০২৪ দুপুর ৪:৭
উপজেলা নির্বাচনের আমেজ এখন পুরোদমে বইছে বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের জনপদ নদী ও সুন্দরবন বেষ্টিত খুলনার কয়রা উপজেলায়। আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ।এর মধ্যে নির্বাচনী সকল কার্যক্রম ও প্রচার প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম শফিকুল ইসলাম অপর দিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা মটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে নিরবচ্ছিন্ন নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন।
আগামী ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে কয়রা উপজেলায় ভোটে এবার চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী হয়েছেন। তাঁরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা (মোটরসাইকেল) এবং বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম শফিকুল ইসলাম (আনারস)। আর বাকি এক প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগের নতুন মুখ এ্যাড. অনাদী সানা (ঘোড়া)। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্দীতা করছেন।
উপজেলার একাধিক আওয়ামীলীগ নেতা ও সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রার্থীরা সবাই আওয়ামী লীগের হলেও নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকার সম্ভাবনা ছিল উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতার। কিন্তু অসুস্থতার কারণে চিকিৎসাধীন থাকায় নির্বাচনী সকল প্রচার ও প্রচারণা থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম শফিকুল ইসলাম(আনারস) সরে দাঁড়ানোর ফলে কোন প্রতিদ্বন্দিতা ছাড়াই ব্যাপক ভোটে মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে জয় লাভ করবেন জনপ্রিয়তায় শীর্ষে থাকা জি এম মোহসিন রেজা এমনটা অভিমত নেতা সাধারণ ভোটার ও নেতাদের। একজন বসে না গেলে নির্বাচনে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হতো বলেও জানান তারা।
এর আগে গত ২৩ মে চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম শফিকুল ইসলামের এর প্রধান নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী ও তার ভাই কয়রা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম বাহারুল ইসলাম প্রার্থীর হয়ে তার নিজ ফেসবুক আইডিতে অসুস্থাতার কথা জানিয়ে নির্বাচন থেকে প্রচার প্রচারণা থেকে সরে দাড়ানোর কথা জানান। তবে মাঠে না থাকলেও প্রার্থীর নিজের মুখে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে সরে যাওয়ার কথা বলেননি ও তার কোন বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
উপজেলার নির্বাচনী মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন প্রতিদ্বন্দিতা করলেও জি এম মহসিন রেজা ছাড়া অন্য ২ প্রার্থীর প্রচার প্রচারণা দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি নিরবচ্ছিন্ন গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন জি এম মোহসিন রেজা ও তার কর্মী সমর্থকরা।ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজ প্রতিশ্রুতি তুলে ধরছেন,দোয়া, সমর্থন ও ভোট চাইছেন। উপজেলার ৭ ইউনিয়ন সহ সবগুলো এলাকায় গণসংযোগ করছেন তিনি।কোনো প্রার্থীর প্রচার ও প্রচারণা মাঠে দেখা যাচ্ছে না।
উপজেলার সাধারণ ভোটাররা বলছেন, যুবলীগের সভাপতি এস এম শফিকুল ইসলাম অসুস্থতার কারণে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়াই। আর যিনি আছেন ঘোড়া মার্কার তার জনপ্রিয়তা নেই নতুন মুখ হওযায়। তাই জি এম মহসিন রেজার মোটর সাইকেল প্রতীকের জয় সুনিশ্চিত।তিনি দীর্ঘ দিনের রাজনীতির সাথে জড়িত,রয়েছে পরিচ্ছন্ন ইমেজ। অন্য কোন প্রার্থী মাঠে না থাকায় পুরো উপজেলায় মটর সাইকেল মার্কার ব্যাপক গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। নির্বাচনে মহজিন রেজার মটর সাইকেল মার্কার বিজয় সুনিশ্চিত।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নীশিত রঞ্জন মিস্ত্রি বলেন, আওয়ামীলীগের সভাপতি জি এম মোহসিন রেজার জনপ্রিয়তা এখন আকাশ চুম্বী। জনগণ ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন। মোটর সাইকেল মার্কার বিজয় সুনিশ্চিত। চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জি এম মহসিন রেজা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছি।মানুষের সাথে ছিলাম। সাধারণ মানুষ ও নেতা কর্মীদের বিপুল সাড়া পাচ্ছি। তারা মটর সাইকেল মার্কাকে নিজেদের করে নিয়েছেন। তারাই আমার হয়ে কাজ করছেন। গণজোয়ার উঠেছে। ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকলে আমাকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন। তিনি বলেন, কে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা থেকে সরে গেলো আমার বিষয় না আমি আমার কাজ করে যাবো। আগামী ২৯ মে জনগণ অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ভোট গ্রহণের মাধ্যমে আমাকে বিজয়ী করবেন ইনশাআল্লাহ।
নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম শফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।