অস্বাভাবিক হচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ, আত্মহত্যা আর রোমহর্ষক খুন
প্রকাশিত: ১১-১২-২০২৩ দুপুর ৩:৩৮
পত্রিকার পাতা উল্টালেই এবং টেলিভিশনের পর্দায় চোখ পড়লেই প্রতিদিন সামনে আসে বিবাহ বিচ্ছেদ, আত্মহত্যা আর রোমহর্ষক খুনের খবর। এ যেন এখন তুচ্ছ ব্যাপার। ছেলে তার মাকে, বাবা তার মেয়েকে, বউ তার স্বামীকে, ভাই তার ভাইকে, বন্ধু তার বন্ধুকে খুন করে— ফেলে দিচ্ছে জঙ্গলে, খালে-বিলে, বস্তায়-রাস্তায়, নর্দমায়, ফ্রিজে, নদীতে, পাহাড়ে, সমুদ্রসৈকতের পাথরের আড়ালে। এমন খবর এখন নিত্যদিনের। বাল্যবিবাহ আবারও বেড়ে যাওয়ায় দাম্পত্যজীবন ১ মাস, ৬ মাস সর্বোচ্চ ১ বছর অতিবাহিত হতে না হতেই ডিভোর্স হচ্ছে। এই ডিভোর্স শব্দটা এখন একপ্রকার ফ্যাশান। সম্পদের লোভে পড়ে ছেলে তার বাবাকে খুন করে টুকরো টুকরো করছে, মেয়ে তার মাকে কেটে ফ্রিজে রাখছে, বন্ধু তার বন্ধুকে খুন করে মাংস রান্না করছে। এমন রোমহর্ষক খুন এখন পুতুল খেলার মতোই। শিক্ষার্থী একটু পড়ার চাপ পেলে, শিক্ষক-অভিভাবকের শাসনে, প্রেমে ব্যর্থ হলে ও স্ত্রী সংসারে স্বামীর সাথে সামান্য ঝগড়া হলেই গলায় ফাঁসি অথবা বিষ পান করে আত্মহত্যা করছে। এগুলো এখন প্রতিদিনের সাধারণ খবরে পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে একদিকে যেমন বেড়েছে তালাকের সংখ্যা, অন্যদিকে বেড়েছে আত্মহত্যা ও রোমহর্ষক খুনের সংখ্যাও। ইদানিং তাই বিদ্যুৎ গতিতে বেড়েই চলেছে বিবাহ বিচ্ছেদ, আত্মহত্যা আর রোমহর্ষক খুন। এখন প্রশ্ন- কবে থাকবে এসব?
এসবের জন্য দায় কি ? বাংলাদেশে কেন প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে? এ নিয়ে রয়েছে বহু গবেষনা ও দীর্ঘ আলোচনা।
বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাক:
মহামারী করোনা পরিস্থিতির পর পরই গ্রামে আবারো বাল্যবিবাহের মাত্রা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ৫ম শ্রেণী থেকে শুরু করে ১০ম শ্রেণী শিক্ষার্থীদের বাবা-মা’রা দ্রুত বিবাহ দেওয়ার জন্য অস্থির হয়ে পড়েন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বিবাহ দেওয়ার পর দাম্পত্যজীবনের ১ মাস থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ বছর যেতে না যেতেই নানান সমস্যা, নানা কলহে কিশোরীদের নিতে হচ্ছে ডিভোর্সের অপবাদ। যে বয়সে শিক্ষার্থী হাসি-খুশি মনোবলে পড়বে, খেলবে, শিখবে— ঠিক সেই বয়সেই মাথায় ভর করছে সংসার ভাঙ্গার দুঃশ্চিন্তা। এর জন্য কয়েকটি কারণ অন্যতম। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া, ফেসবুক, টিকটক, অতিরিক্ত রাগ, ভুল বুঝাবুঝি, বয়সের অধিক বৈষম্য, পরকিয়া, প্রাক্তন প্রেম, অর্থের লালসা এবং সেকরিফাইস না করা। বর্তমানে যেকোন সম্পর্কই নষ্ট হচ্ছে এসব কারণে। ব্যক্তিগত ভাবনা থেকে বলছি, ইদানিং কোনো দাম্পত্যই ভালো নেই। আধুনিকতা ছোঁয়ার সাথে সাথে সংসার জীবনটাও কেন জানি তুচ্ছ অবহেলায় পরিণত হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মধুর গভীর সম্পর্ক আজ বিলুপ্তির পথে। নব্বই দশকের যুগের মতো একসাথে বড়ো-বুড়ি হয়ে শেষ পর্যন্ত সংসারে টিকে থাকা এ যুগের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
এভাবেই দেশে ডিভোর্সের হার দিনদিন বাড়ছে। ডিভোর্সের এই সংখ্যা বৃদ্ধির হার রীতিমতো ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। পরিসংখ্যান তথ্যমতে, ঢাকায় ৪০ মিনিটে ১টি করে ডির্ভোস হচ্ছে। গত বছর রাজধানীতে তালাক হয়েছে প্রতিদিন ৩৭টি করে। গ্রাম-শহর সারাদেশেই বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২’ শীর্ষক জরিপে এসব তথ্য উঠে আসে। ডিভোর্সের হার গ্রাম অঞ্চলে শহরের তুলনায় প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি। শহরের ধনী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের দম্পতিরা বিভিন্ন কারণে বিষাক্ত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও গ্রামের মানুষ সেটা পারছে না। তাদের দাম্পত্যকলহ গ্রাম্য সালিশে সমাধান করা হলেও পরবর্তী শেষ ধাপে তাদের বিচ্ছেদের পথ বেছে নিতেই হয়। গ্রামে এর থেকে বেশি তাই বিচ্ছেদের গড় হারটাও শহরের তুলনায় অনেক বেশি। এর সঠিক সমাধান না হলে, ভবিষ্যতে দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা দেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এর জন্য চাই- সঠিক পরামর্শ, সচেতনতা, বাল্যবিবাহ রোধ, পাত্র-পাত্রীর মতামত, পাত্র-পাত্রীর বয়সের অধিক ব্যবধান রোধ, সেকরিফাইস ও সম্প্রীতি।
আত্মহত্যা :
আত্মহত্যা! এ যেন নিজেকে শেষ করার পৃথিবীর সহজ এক উপায়। যা এখন প্রতিনিয়ত ঘটচ্ছে। জীবনের চেয়ে অমূল্য সম্পদ কিছু না থাকলেও, এ যুগে আত্মহত্যাকারীর কাছে হয়তো জীবন তুচ্ছ। এবার আসা যাক, মুল কথায়। সমাজে কেন এতো আত্মহত্যা?
বিশেষজ্ঞদের মতে- পারিবারিক নির্যাতন, কলহ, তালাক, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, পরীক্ষা ও প্রেমে ব্যর্থতা, দারিদ্র্যতা, বেকারত্ব, প্রাত্যাহিক জীবনের অস্থিরতা, নৈতিক অবক্ষয় এবং মাদকসেবন- এসবের কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। বিয়ে, পরিবার, সন্তানপালন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক চাপ, দায়-দায়িত্ব, টাকা-পয়সার ভাগ-বাটোয়ারা, বিয়ের পর অন্য নারীতে বা পুরুষে আসক্ত হওয়া বিষয়গুলো দিন দিন বাড়ছে। এসব জটিলতাকে কেন্দ্র করে বাড়ছে অসুখী দাম্পত্য জীবন। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক আরো তিক্ত হচ্ছে, কিন্তু এরপরও অনেকে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে বা সামাজিক সমালোচনা এড়াতে অসুখী সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু এভাবে চলতে চলতে একদিন এমন একটা দুঃসহ পরিস্থিতি তৈরি হয় যে, যখন আর পালিয়েও বাঁচা যায় না। সে পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে স্বামী বা স্ত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। আবার অনেক সময় দেখা যায়, মা-বাবার অসুখী সম্পর্কের জেরে সন্তান আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বাবা-মার ডিভোর্সের জেরে সন্তানরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহপাঠীদের অপমান সহ্য করতে না পেরে নিরব যন্ত্রণায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। অন্যদিকে আত্মহত্যার দীর্ঘ সারিতে রয়েছে- স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। অনেকেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার হতশায়, অতিরিক্ত মাদকসেবন করে, কেউ প্রেমে ব্যর্থ হয়ে, কেউবা আর্থিক সংকটে, একাকিত্বে,
কেউ কেউ আবার আশানুরূপ পরীক্ষার ফলাফল না পাওয়ায় এ পথ বেছে নিচ্ছে। শুধু দাম্পত্য ও শিক্ষার্থীই এ কাতারে নয়, আত্মহত্যার এই প্রবণতা সমাজের নানা স্তরের মানুষের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপে দেখা গেছে- দেশে বছরে প্রায় ১৩ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার এই প্রবণতা বেশি। আর দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর এ প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বিশ্বে সার্বিকভাবে মৃত্যুর ১৭তম প্রধান কারণ হলো আত্মহত্যা। যেখানে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ আত্মহত্যা। বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৭ লাখ ৩ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। এ গণনায়, প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে দেখা মিলছে, বিশ্বে প্রতিবছর যত মানুষ আত্মহত্যা করে তার ৭৭ শতাংশই হয়ে থাকে কম আয় ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। এর কাতারে বাংলাদেশও রয়েছে। ঢাকার একটি সংস্থার রিপোর্টে বলছে, ১৭৭ জন নারী আত্মহত্যাপ্রবণ রোগীর মধ্যে ১২২ জনই মাদকাসক্ত ছিল। তাদের মধ্যে ১৬৩ জনের বয়স ১৫ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে এবং ৭৪ জন আত্মহত্যাপ্রবণ ব্যক্তির কমপক্ষে একটি মানসিক রোগ ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সাধারণ মানুষের তুলনায় অ্যালকোহল ব্যবহারকারীরা ১০ গুণ বেশি আত্মহত্যার ঝুঁকিতে এবং যারা শিরায় নেশাদ্রব্য গ্রহণ করে তারা ১৪ গুণ বেশি আত্নহত্যার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে দেশের মাদক ব্যবহারের ধরন পরিবর্তন হয়েছে এবং ইয়াবার সহজলভ্যতার কারণে এর ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশনের তথ্যে দেখা যায়, প্রতি মাসে প্রায় ৪৫ দশমিক ১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে।
আত্মহত্যার অন্যতম কারণ ভুল প্রত্যাশা। এ কারণেও অনেকে আত্মহত্যা করে থাকে। অনেকেই ভাবে যে, এই উদ্দেশ্যে আত্মহত্যা করলে এতে সে গ্লানি ও কষ্ট থেকে মুক্তি লাভ করবে। কিন্তু এটা জানা জরুরি যে, কোনো মন্দ কাজ দ্বারা ভালো ফলাফল আশা করা যায় না। যেখানে আত্মহত্যা’ই মহাপাপ, সেখানে এই মহাপাপ সংঘটিত করে কীভাবে কল্যাণ লাভ করা যাবে?আত্মহত্যার শাস্তির বিষয়ে হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে যেভাবে আত্মহত্যা করবে, তার শাস্তি অনন্তকাল সেভাবেই চলতে থাকবে।’ (মুসলিম ও তিরমিজি)।
তাই আত্মহত্যা কমাতে সামাজিক সম্প্রীতি, ধর্মীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সবার মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে। আত্মজীবনকে উপলব্ধি করতে হবে। অভিভাবক ও শিক্ষক হিসেবে প্রথম করণীয় হলো আত্মহত্যা সম্পর্কে সচেতন হওয়া। একে-অপরকে বুঝতে পারা ও বুঝাতে সক্ষম হওয়া।
রোমহর্ষক খুন:
খুন! পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্টতম অন্যায়। মানুষ আল্লাহর প্রিয় ও সেরা সৃষ্টি। আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে তিনি মানুষকে মর্যাদা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। তাই মানুষ হত্যাকে তিনি কবিরা গোনাহ হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। হত্যার অপরাধে মহান আল্লাহর আরশের ছায়া থেকে বঞ্চিত হবে মানুষ। কারণ, অবৈধ হত্যাকাণ্ড পৃথিবী ধ্বংসের চেয়েও মারাত্মক। মানুষ হত্যা মানবতা হত্যার শামিল। সৃষ্টিকর্তার এমন বাণী জেনে ও বুঝেও মানুষ মানুষকে খুন করছে।
দেশে দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে বীভৎস, বিকৃত, রোমহর্ষক খুনের ঘটনা। অতি আপনজনরাও ঘটাচ্ছে এমন অবিশ্বাস্য খুন-খারাবি। মা খুন করছে সন্তানকে, স্ত্রী খুন করছে স্বামীকে, স্বামী পুড়িয়ে মারছে স্ত্রীকে, ভাই খুন করছে ভাইকে, বন্ধু-বন্ধুকে, মেয়ে তার বাবাকে, কর্তা তার কাজের বুয়াকে। এমন খুনের পর মরদেহ বিকৃতি করে রাখা হচ্ছে শয়নকক্ষে, রাস্তায়-বস্তায়, বালুতে-কাদাতে, ফ্রিজের ভেতর, পানির ট্যাংকে, নদীতে, ড্রেনে কিংবা ডাস্টবিনে। আবার কেউ কেউ খুন করে হাড্ডি থেকে মাংস পৃথক করে রান্না করছে। শহরে ও গ্রামে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার লোভে চালককে খুন করে গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনাও বাড়ছে। প্রায়ই এ ধরনের খুনের ঘটনা ঘটছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক দ্বন্দ্বই অধিকাংশ খুনের কারণ। বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৫ বছরে সারা দেশে খুনের ঘটনা ঘটেছে ১৬ হাজার ৯৭৪ টি। এর মধ্যে অধিকাংশ হত্যাকাণ্ডই বীভৎস ও রোমহর্ষক। অপরাধ ও সমাজ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পেছনে অন্যতম কারণ পরকীয়া, জমিসংক্রান্ত বিরোধ ও মাদকের অর্থ জোগাড়, দাম্পত্যকলহ, পারিবারিক ঝামেলা, ইন্টারনেটের অপব্যবহার, অসহিষ্ণুতা, অতিমাত্রার ক্ষোভ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়। মানুষে মানু্ষে হানাহানি, কলহ, রেষারেষি ও হিংসা বেড়ে গেছে। যারফলে মানুষের মাঝে দিন দিন মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে নিষ্ঠুরতা। তুচ্ছ কারণে অসহিষ্ণু হয়ে খুনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। তবে বীভৎস বিকৃত খুনের ঘটনার বেশিরভাগই ঘটছে অপেশাদার খুনিদের মাধ্যমে।
এই তিনটি মারাত্মক অপরাধ রোধ করা না গেলে হুমকির মুখে পড়বে সমাজ তথা পুরো দেশ। এর জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা ও প্রশাসনের আইনানুগ ব্যবস্থা জোরালো করা। মানু্ষ মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি, ভালোবাসা এবং ঐক্যবদ্ধ ধরে রাখা সমাজের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এমন নিকৃষ্টতম অন্যায় এ দেশে আর না ঘটুক। সবার হৃদয়ে নিজ জীবনের প্রতি মায়া ও অন্যের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি পাক। শান্তিময় হোক পৃথিবী।
লেখক:
জি.বি.এম রুবেল আহম্মেদ
(সাংবাদিক ও কলামিস্ট)