তানোরে মাদকের চাইতে ভয়ংকর মোবাইলের নেশা, ধ্বংস হচ্ছে ছাত্র-যুব সমাজ
প্রকাশিত: ৫-১২-২০২৩ দুপুর ২:৪
মাদকের চাইতে ভয়ংকর মোবাইলের নেশা।বর্তমান সময়ে মাদকের চেয়ে মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে যুবক- যুবতী এমন দৃশ্য চোখে পড়ছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।বর্তমান সময়ে যুবক-যুবতীরা প্রেমের সম্পর্কে সারারাত ফোনে কথা বলছে ম্যাসেজ করছে।কখন যে রাত পার হয়ে যাচ্ছে তারা সেটা বলতে পারছে না।তাছাড়া বড় সমস্যা ফোনে সারাক্ষণ ফ্রি ফায়ার,পাবজি,টিকটক সহ বিভিন্ন গেমে ছোট্ট বাচ্চারাও আসক্ত হয়ে পড়ছে।
ছেলে-মেয়েদের হাতে মোবাইল ফোন না দিলে তারা কান্না কাটি,খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিচ্ছে।এমনকি মোবাইল ফোন নিতে না দিলে বা কেড়ে নিলে বা মোবাইল চালাতে মানা করতে বললে বকা দিলে অভিমান করে আত্মহত্যা পর্যন্ত করছে।আর বর্তমানে যেসব ছেলে- মেয়েরা মোবাইলের নেশায় আসক্ত হচ্ছে,তারা জগতের সমস্ত কিছু ভুলে যাচ্ছে।বর্তমানে ছেলে-মেয়েরা কোনো খেলাধুলা করতে চাই না।সারাদিন মোবাইল ফোন নিয়েই কাটিয়ে দিচ্ছে।ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা মোবাইলে আসক্ত হয়ে তাদের নিজের ক্ষতি করছে,তা তারা বুঝতে পরেছে না।কিন্তু অভিভাবকরা কোনো মতেই মোবাইলের আসক্ত থেকে সরাতে পারছে না।মোবাইলে আসক্ত এক নবম শ্রেণির শিক্ষর্থীর কাছে বিভিন্ন কথা বলতে বলতে এক মুহূর্তে সে নিজেই শিকার করে বলেন, আমি সত্যিই মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছি,কোনো ভাবেই এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না।
সারাক্ষণ টিকটক, ইউটিউব ও ফ্রি ফায়ার এ পড়ে থাকি।টিকটকের ভিতর ডুকলে বের হতে ইচ্ছে করে না।মোবাইলে চার্জ শেষ না হওয়া পযর্ন্ত টিকটক ভিডিও দেখতে থাকি।আমার মাসে ৯০০থেকে১০০০ টাকা মোবাইলে খরচ হয়।রাত দুই টা থেকে তিন টা পযর্ন্ত মোবাইল দেখে ঘুমায়।যার কারণে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যাচ্ছে।সব কিছু বুঝতে পারছি কিন্তু এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না।নেজাম নামের এক অভিভাবক বলেন,সন্তানদের মোবাইল নেশা থেকে সরানো দরকার।এরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ,এখন থেকে সারাক্ষণ মোবাইল টিপলে তাদের চোখের সমস্যা হবে তাতে এদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে পারে।যে ভাবে হোক এদের কাছ থেকে মোবাইল নিতে হবে।কারন মোবাইল ফোনের নেশা,মাদকের চাইতে ভয়ংকর।এ বিষয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও বিল্লাল হোসেন বলেন,শিক্ষক ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা ছেলে-মেয়েদের ক্লাসে এবং বাড়িতে ভালো করে বোঝাবেন।
শিক্ষক শাওন বলেন,ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া ঠিকমতো করছে না।বই-খাতা ফেলে অধিকাংশ ছেলে- মেয়েরা মোবাইলে সময় দিয়ে থাকে।অভিভাবকরা মোবাইল ধরতে নিষেধ করলেই আত্মহত্যার হুমকি দেয় ছেলে-মেয়েরা।এমনকি শিক্ষক ও তার বাচ্চা নিয়ে মহাবিপদে আছে। তিনিও এর প্রতিকার খুজে পাচ্ছে না। বর্তমান প্রজন্ম এইভাবে মোবাইলে আসক্ত হলে কি যে হবে তা বলা যাচ্ছে না।বিশেষ করে অভিভাবক দের আরোও বেশি সচেতন হওয়া জরুরী।