ঢাকা ১৩ আসনে আওয়ামী লীগের নেতারা তিন ভাগে বিভক্ত, প্রার্থী হয়েছে একাধিক

news paper

নিজাম উদ্দিন

প্রকাশিত: ২১-১১-২০২৩ বিকাল ৫:৫৬

594Views

ঢাকা- ১৩ আসনে আওয়ামী লীগের নেতারা তিন ভাগে বিভক্ত। ইতিমধ্যে মনোনয়ন পেপার কিনেছেন ৫ জন। এর মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থী আছেন ৩ জন। তিনজন হেভিওয়েট এর মধ্যে রয়েছে আলহাজ্ব সাদেক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শেখ বজলুর রহমান। অন্য দুজন হচ্ছে অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার, নুর আলম হক সিদ্দিক।  এরা সবাই ১৩ আসনের মনোনীত হওয়ার জন্য জনগণের সাথে  এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ  নেতাদের সাথে যোগাযোগ  করে যাচ্ছেন।

ঢাকা-১৩  আসনটি সংসদের ১৮৬ নম্বর আসন। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরে বাংলা নগরের একাংশ নিয়ে আসনটি গঠিত। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৪ নং ওয়ার্ড এই সংসদীয় আসনের অন্তর্ভুক্ত।

সবশেষ তিন নির্বাচনে এ আসন থেকে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এই আসনে ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক। ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান এমপি আলহা্জ্ব মোঃ সাদেক খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান মনোনয়ন কিনেন। আসলে কে হচ্ছে এই আসনের এমপি তা নিয়েই অনেকের অনেক আলোচনা। 

এদিকে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন কিনেছেন শফিকুল ইসলাম সেন্টু। তিনি বর্তমান জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ঢাকা  মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক, তিনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। এবিষয়ে জাতীয় পার্টির নেতা শফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠা চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের ছোট ভাই জিএম কাদেরের নেতৃত্বে আমরা জাতীয় পার্টি ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছি। আমি ঢাকা ১৩ আসন থেকে নির্বাচন করবো আশাকরি যদি অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন হয় তাহলে আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো। ১৩ আসন জাতীয় পার্টির জন্য একটি ভোট ব্যাংক বলে তিনি উল্লেখ করে।

আলহাজ্ব সাদেক খানের অনুসারীরা বলেন, সাদেক খানের বিকল্প সাদেক খান নিজেই,কারণ তিনি একজন ক্লিন ইমেজের লোক তিনি বর্তমান সময় এমপি থাকা অবস্থায় এই পাঁচবছর কোথাও কোনো অরাজকতা ও সন্ত্রাসী কিংবা চাঁদাবাজি ও ভূমিদস্যুতার মত কোনো ঘটনা ঘটেনি, এমনকি সাদেক খানের কোনো বাহিনী নাই, তার নাম বলে কেউ কোথাও অরাজকতা করতে পারেননি। 

জাহাঙ্গীর কবির নানক গত দুইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এই ১৩ আসন থেকেই। এবারও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থী।  তার সময়ের উন্নয়নের কথা এখনো মানুষের মুখে মুখে। এছাড়াও দলের ও দেশের দুঃসময়ে গুরুত্তপূর্ণ ভুমিকায় অবতীর্ণ হন জাহাঙ্গীর কবির নানক। ঢাকা ১৩ আসনসহ দলেও নানকের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। 

শেখ বজলুর রহমান বলেন,আমি মনোনয়ন কিনেছি,দল যদি ভালো মনে করে আমাকে দিবে।নয়তো যাকেই মনোনীত করবেন আমি তার হয়েই কাজ করবো। এবং প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালী করার জন্য আসন্ন নির্বাচনে নৌকা কে জয়যুক্ত করে ঘরে ফিরবো। 

এদিকে ১৩ আসন থেকে এই প্রথমবারের মত মনোনয়ন কিনেছেন নুরে আলম সিদ্দিকী হক, তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করতে চাইছেন ঢাকা ১৩ আসনে। তিনি একজন সাংবাদিক নেতা বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। নুরে আলম সিদ্দিকী তিনি রাজবাড়ীর সন্তান, তিনি বর্তমানে কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলে জানা গেছে।


আরও পড়ুন