চুয়াডাঙ্গায় নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

news paper

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১-১১-২০২৩ দুপুর ৪:২৬

35Views

নবাগত পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমানের সাথে জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় । ১৭ ই নভেম্বর তিনি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। ২১শে নভেম্বর (মঙ্গলবার) চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে নবাগত পুলিশ সুপার  আর এম ফয়জুর রহমান,পিপিএম-সেবার সভাপতিত্বে পুলিশ লাইন্সে  সকাল সাড়ে ১১ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় কর্মরত ইলেট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণের সাথে পরিচিতিমূলক ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা ( দামুড়হুদা সার্কেল) ডিআইও- ১  আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান  ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসারগণ। 
মতবিনিময় সভায় জেলায়  নবাগত পুলিশ সুপার  আর এম ফয়জুর রহমানকে স্বাগত জানিয়ে সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক পশ্চিম অঞ্চলের সম্পাদক ও প্রকাশক আজাদ মালিতা, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাড. মানিক আকবর চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন, সাধারন সম্পাদক রাজীব হাসান কচি সহ সাংবাদিক  ফাইজার চৌধুরী, মামুন মোল্লা, জিসান আহম্মেদ, হুসাইন মালিক, কামরুজ্জামান চাঁদ,ইসলাম রকিব, সাংবাদিক রিফাত রহমান সহ অনান্য  নেতৃবৃন্দরা এসময় বক্তব্য রাখেন। 
নবাগত পুলিশ সুপার এসময় বক্তব্যে বলেন, গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি বাংলাদেশের প্রাণপুরুষ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও জাতির পিতার পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার সকলকে। আমি আমাদের চার জাতীয় নেতাকে স্মরণ করছি। যাদের অবদান ছিল আমাদের বাঙালি জাতির জন্য অপরিসীম । 

পুলিশ সুপার পদটি আমি জেলা পুলিশের প্রধান হিসেবে নয়, বরং আমি গ্রহণ করেছি রাষ্ট্রকর্তৃক প্রদত্ত সুমহান দায়িত্ব হিসেবে। চুয়াডাঙ্গার জনগনের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ এবং আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে জেলা পুলিশ সদস্যদের অবারিত চেষ্টা চলমান, সেই বিশাল কর্মক্ষেত্রের একজন সদস্য হতে পেরে আমি গর্ববোধ করছি এবং আমাকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

তিনি আরোও বলেন, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার হিসেবে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব মেধা-মনন, সততা এবং নিষ্ঠার সাথে পালন করতে আমি দৃঢ প্রতিজ্ঞ। এই জেলার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অধিকতর সেবা প্রদান হবে আমার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।  কুইক রেসপন্স এবং সেবা সহজীকরণের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলার ৫টি পুলিশ স্টেশন হবে আইনী সেবা প্রত্যাশীদের নির্ভরতার কেন্দ্রবিন্দু।

সাংবাদিক সমাজের দর্পন। রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ। জনবল ও লজিস্টিকস স্বল্পতার কারণে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে লুকিয়ে থাকা সকল অপরাধ আর অপরাধীর খোঁজ পাওয়া পুলিশের একার পক্ষে দুঃসাধ্য। আপনাদের লেখনির মাধ্যমেই কেবল পুলিশ সমাজ বিরোধী কাজের পুঙ্খানুপুঙ্খ খোঁজ পেতে পারে। পুলিশ এবং সাংবাদিক পরস্পরের সহযোগী বন্ধু হিসাবে সত্যের সন্ধানে কাজ করে। পুলিশকে সমাজের আনাচে- কানাচে ঘটে যাওয়া অপরাধের সঠিক তথ্য দিয়ে সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ পুলিশকে সহযোগিতা করবেন এটাই আমার প্রত্যাশা। 

অসীম সাহসিকতা, বীরত্ব, আত্মত্যাগের ইতিহাসকে ধারণ করে সেবার সুমহান ব্রত নিয়ে আমি এবং আমার টিম আপনাদের সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে আমার চাকরির অভিজ্ঞতা,  মেধা এবং প্রচেষ্টার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করতে সচষ্টে থাকব। আপনাদের সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং নির্বাচন আচরণ বিধিমালা মোতাবেক পুলিশের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে বদ্ধপরিকর। রাষ্ট্র, সংবিধান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে আমরা দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের এই দীপ্তপদের যাত্রায় আপনাদের সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য। 

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন  চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান লালন (সদর সার্কেল) ।


আরও পড়ুন