বিএনপির ডাকা অবরোধ চলাকালে রাজপথ ছিলো ছাত্রলীগের দখলেঃ রিয়াজ মাহমুদ
প্রকাশিত: ৩১-১০-২০২৩ রাত ৯:৩৮
বিএনপির অবরোধের নামে জ্বালাও পোড়াও সহিংসতা ঠেকাতে ঢাল হিসেবে ছাত্রলীগের নেতারা সক্রিয় ছিল। মহানগর উত্তরের প্রতিটি পয়েন্টে পয়েন্টে, ছাত্রলীগ নেতাদের উপস্থিতি ছিল ব্যাপক আকারে। মহানগর উত্তরের ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদের নেতৃত্বে সক্রিয় ছিল ছাত্রলীগ।
বিএনপির ডাকা অবরোধের নামে যদি কেউ আগুন সন্ত্রাসের মত কর্মকাণ্ড করে তা প্রতিহত করতে রাজপথে রয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ। রিয়াজের দখলে ছিলো মহানগর উত্তর।

সরেজমিনে গেলে তার নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখা যায়। মোহাম্মদপুর শ্যামলী,আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর,মিরপুর,উত্তরা, গাবতলীর মত এলাকায় সক্রিয় ছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ-সময় নেতারা বলেন, বাংলার মাটিতে আর আগুন সন্ত্রাস হতে দিবো না।
রিয়াজ মাহমুদ বলেন অবরোধের নামে যদি কোনো দুষ্কৃতকারীরা বাসে আগুন সন্ত্রাসের চেষ্টা করে তাহলে তা প্রতিহত করার জন্য প্রত্যেকটি পয়েন্টে পয়েন্টে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত আছেন। মানুষের জানমান রক্ষা করা আমাদের নৈতিকতা রয়েছে সেই যায়গা থেকেই আমরা ছাত্রলীগ রাজপথে রয়েছি,আর কোনো নৈরাজ্যের সৃষ্টি হতে দিবোনা। আমরা জনগণের সাথে ঢাল হিসেবে থেকে তাদের জান-মাল রক্ষা করার চেষ্টা করে যাবো।

এদিকে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিলের দখলেও ছিলো মহানগর উত্তর। তার নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতাকর্মী সক্রিয় ছিল রাজপথে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পয়েন্টে, যুবলীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখা গেছে। মোহাম্মদপুর আদাবর শ্যামলী কল্যাণপুর টেকনিক্যাল মাজার রোড গাবতলী সহ আশপাশের বেশ কিছু এলাকা ঘুরে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বেশ তৎপর ছিল । যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল রাজধানীর গাবতলীর প্রবেশ দ্বারে মঞ্চ বানিয়ে কর্মীদেরকে নিয়ে একটি ব্যতিক্রম আয়োজন করেন। মইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে আমরা অবরোধের নামে যদি কোনো দুষ্কৃতকারীরা বাসে আগুন সন্ত্রাসের চেষ্টা করে তাহলে তা প্রতিহত করার জন্য প্রত্যেকটি পয়েন্টে পয়েন্টে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন সহ যুবলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত আছেন। তিনি আরও বলেন সারাদেশে আমার নির্দেশ রয়েছে যেখানেই আগুন সন্ত্রাসের চেষ্টা হবে সেখানেই যুবলীগ প্রতিরোধ করবে।
উল্লেখ্য গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি জামাতের সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ এবং সহিংসতায় একজন পুলিশ সদস্যসহ মোট দুইজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নিজেদের মহাসমাবেশে হামলার অভিযোগ করে বিএনপি। মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতিবার সারা দেশে অবরোধের আহবান করে বিএনপি। বিএনপির সাথে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী এবং আরো কয়েকটি দল। তারই প্রেক্ষিতে ৩১ অক্টোবর থেকে তিনদিন অবরোধ ঘোষণা করে বিএনপি। রাজধানীর ঘুরে অবরোধে তেমন কোনো সহিংসতার তথ্য পাওয়া যায়নি।