স্ত্রীকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তালাক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশিত: ২৩-১০-২০২৩ দুপুর ১:২৫
নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায় পুলিশ কনস্টেবল উমন মিয়া(২৭) তার স্ত্রীকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তালাক দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে নেত্রকোনার কোর্ট আদালতে মামলা দায়ের করেছে স্ত্রী মনি আক্তার (২৫) বাদী হয়ে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আটপাড়া উপজেলাধীন সুখারী ইউনিয়নের কুলশ্রী গ্রামের সুখচান মিয়ার ছেলে পুলিশ কনস্টেবল উমনের সাথে মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের মেয়ে মনি আক্তারের সাথে গত ২৬ অক্টোবর ২০১৮ সালে পারিবারিকভাবে রেজিস্ট্রি কাবিন মূলে বিবাহ হয়।
বিবাহের কিছুদিন পর থেকে যৌতুক লোভী পুলিশ কনস্টেবল উমন তার স্ত্রী মনি আক্তার কে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়, বাবার বাড়ি থেকে চার লক্ষ টাকা যৌতুক এনে দেয়ার জন্য । স্ত্রী মনি আক্তারকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করায় পুলিশ কনস্টেবল স্বামী উমন মিয়ার বিরুদ্ধে তার কর্মস্থল ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।স্ত্রীর লিখিত অভিযুগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার মহোদয় পারিবারিক বিষয়টি আলোচনা সাপেক্ষে মীমাংসার করে দেন।
এবং পুলিশ কনস্টেবল স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন ও যৌতুক দাবি করবে না এই মর্মে একটি লিখিত অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন পুলিশ কনস্টেবল উমন মিয়া।এরপর সিলেট কর্মস্থলে স্ত্রীকে নিয়ে সংসার জীবন থাকা অবস্থায় পারিবারিক কাজের জন্য ৪ লক্ষ আশি হাজার টাকা তার বড় ভায়রা ভাইয়ের একাউন্ট নাম্বার পাঠায় পুলিশ কনস্টেবল উমন মিয়া।
৪লক্ষ আশি হাজার টাকা পাঠানোর পর সেই টাকা সুখারী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নান্টু মিয়ার উপস্থিতিতে আটপাড়া উপজেলাধীন সেতুর বাজারে পুলিশ কনস্টেবল উমনের পিতা সুখ চান ও তার ছেলে মামুন মিয়ার ( ৪০) এর হাতে বুঝিয়ে দেন উমনের বড় ভায়রা ভাই।
৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বুঝিয়ে নেওয়ার পর পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে স্ত্রীর প্রতি প্রতিশোধ নেওয়ার কৌশল অবলম্বন করে বলে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে এই মর্মে স্ত্রী ও বড় ভায়রা ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন উমন। স্ত্রীকে টাকা আত্মসাৎ করেছে এরকম একটা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে উকিলের মাধ্যমে তার কাছে তালাক নোটিশ বাড়িতে পাঠায়।প্রথম স্ত্রী মনি আক্তারকে মিথ্যা অভিযোগে তালাক নোটিশ বাড়িতে পাঠিয়ে, সুখারী ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের বুলবুল মিয়ার কন্যা জুলি আক্তার (২৪) কে বিবাহ করে।
আন অফিসিয়াল ভাবে পুলিশের কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই দ্বিতীয় বিবাহ করেন ওই পুলিশ কনস্টেবল উমন।
উক্ত মিথ্যা অভিযোগে ও স্ত্রী মনি আক্তারকে তালাক দেওয়ার পর একই ইউনিয়নের বুলবুল মিয়ার কন্যা জুলি আক্তার কে বিবাহ করায় স্বামী পুলিশ কনস্টবল উমন মিয়ার বিরুদ্ধে নেত্রকোনা নারী ও শিশু নির্যাতন নেত্রকোনার কোর্ট আদালত মামলা দায়ের করেন স্ত্রী মনি আক্তার বাদী হয়ে।
উক্ত মামলাটি চলমান অবস্থায় রয়েছে পুলিশ কনস্টেবল উমন মিয়ার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল বর্তমানে জামালপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত আছে।এ বিষয়ে পুলিশ কনস্টেবল উমনের সঙ্গে মোটো ফোনে কথা হলে সে জানায় প্রথম স্ত্রী মুনি আক্তারকে আমি তালাক দিয়েছি এবং দ্বিতীয় বিবাহ ও করেছে সে আমার বিরুদ্ধে মামলাও করেছে।
এ বিষয়ে জামালপুর পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।