পটুয়াখালীতে শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টা, শিক্ষকের বিরুদ্ধে এলাকা বাসীর মানববন্ধন

news paper

সাঈদ ইব্রাহিম,পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ৩-১০-২০২৩ বিকাল ৬:৩

54Views

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়ন এর আশুরার হাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আঃ ছালাম বাচ্চু কর্তৃক সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অশ্লীল আচরণ, কুপ্রস্তাব, অপহরণ ও ধর্ষন চেষ্টার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর সহপাঠী, আত্নীয়স্বজন এবং এলাকাবাসীর আয়োজনে মঙ্গলবার (৩অক্টোবর) দুপুর ২ ঘটিকায় বাউফল উপজেলাধীন নগরের হাট, বটকাজল এলাকায় মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগী ফারজানার বাবা আশ্রাফ মৃধা বলেন, শিক্ষকের চরিএ যদি খারাপ হয় তাহলে আমরা মেয়েদের কিভাবে লেখা-পড়া করতে স্কুলে পাঠাব, তিনি আরও বলেন আমরা প্রতিবাদ করছি এই জন্য শিক্ষক বাচ্চু আমাদের উপর অত্যাচার নির্যাতন করেছে এবং আমাদের ঘড়বাড়ী কুপিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছে। মামলা করছি হে বলে হেরা শেষ কইরা হালাইছে। আমরা গরীব মানুষ মাইয়া জন্ম দিয়া কি অপরাধ করছি। ফারজানার দুই ফুপু আসমা বেগম ও সাথী বেগম বলেন, যদি আমারা তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দেই তাহলে আমাদের বাড়ি ছাড়া করবে, এছাড়া আরো হুমকি-ধামকি এবং মামলার ভয় দেখায়। আমরা এখন মেয়ে নিয়ে কোথায় যাবো কার কাছে যাবো, আইন বলে হেগো হাতের মধ্যে। সাবেক মেম্বার জাহাঙ্গীর আকন বলেন, আশুরার হাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাচ্চু সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া মোসাঃ ফারজানা (১৩) দীর্ঘদিন ধরেই ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে ফ্রী টিউশন পড়িয়ে আসছিলেন। বিভিন্ন ভাবে প্রেমের প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তিনি ভুক্তভোগী ছাত্রীকে অপহরণ করার অশ্লীল ছবি তোলার চেষ্টা এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তার বিরুদ্ধে একাধীক অভিযোগ আছে। আমরা স্থানীয় ভাবে অনেকবার বিচার শালীশি করেছি, মুচলেকা নিয়েছি কিন্তু তাতেও সে পরিবর্তন হয় নাই।

সম্প্রতি সহকারী শিক্ষক আঃছালাম বাচ্চু ওই গ্রামে (সুধী) ব্যবসায়ী নামে বেশ সুনাম রয়েছে। অপরদিকে রয়েছে একাধিক মামলার আসামি। পূর্বে ওই মামলায় বেশ কিছুদিন জেল হাজতে থাকতে হয়, এর আগেও তিনি তার বিদ্যালয়ের বেশ কিছু ছাত্রীকে যৌন হয়রানী করেন যা ওই ছাত্রীদের পরিবার মান সম্মানের ভয়ে মুখ খোলেনি।

পটুয়াখালী বিজ্ঞ নারী ও শিশু-নির্যাতন দমন  ট্রাইবুনাল পটুয়াখালী নিলুফার শিরিন, বিচারক (জেলা জজ) আদালত ৯(৪)(খ) নাশিঃ ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে পিটিশন কেস নং ৩৬৩/২৩ ইং মামলা দায়ের করে এবং উক্ত মামলা বাউফল তদন্ত কর্মকর্তাকে আগামী ১৬/১১/২৩ তারিখে সত্যতা যাচাই-বাছাই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এদিকে প্রভাবশালী স্কুল শিক্ষক তিনি মোটা অংকের টাকা দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তদন্ত রিপোর্ট মিথ্যা বলে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানায় ভুক্তভোগীর বাবা আশরাফ মৃধা। সমাজে  এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ মানুষ শিক্ষক হিসেবে বহাল থাকতে পারেন না বলে জানান এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিরা। 

মানববন্ধনে অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে তার শাস্তির দাবী জানান।


আরও পড়ুন