ইবিতে শিক্ষার্থী র্যাগিংয়ের তদন্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা সভা ৩ অক্টোবর
প্রকাশিত: ২৮-৯-২০২৩ দুপুর ১:৪
ইবির শিক্ষার্থী র্যাগিংয়ের তদন্ত রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট কমিটি নিদির্ষ্ট সময়ের মধ্যে রেজিস্ট্রার অফিসে জমা দিয়েছে। এই তদন্ত কমিটির তদন্ত রিপোর্ট আগামী ৩ অক্টোবর শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির পর্যালোচনা সভায় সকাল ১১টায় প্রশাসন অফিসে আলোচনার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ তথ্য প্রক্টরিয়াল অফিস সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রসঙ্গত ২ সেপ্টেম্বর ইবিতে র্যাগিংয়ের কালোদাগ মুছতে না মুছতেই আবারও এক নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে।র্যাগিংয়ের শিকার ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মোঃ তাহমিন ওসমান তার পিতার নাম মোঃ শওকত হোসেন।সে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ইং সেশনের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। ২ সেপ্টেম্বর ইবির হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম চলাকালে একই বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থী মোঃহিশাম নাজির শুভ,মিজানুর রহমান ইমন,পুলক,আকিব,সাকিব-দ্বারা র্যাগিংয়ের শিকার হন।ভুক্তভোগী প্রতিবাদ করায় ৩ সেপ্টেম্বর সাদ্দাম হোসেন হলের পিছনে ডেকে তাকে মানসিক ভাবে হেনস্তা ও 'ব্যাচ আউট' করে দেওয়া হবে বলে হুমকি প্রদান করা হয়। ভুক্তভোগীর পিতা বিষয়টি ৫ সেপ্টেম্বর মেইল করে ইবির প্রক্টর ও এ্যান্টি র্যাগিং কমিটির আহবায়ক প্রফেঃড.শাহাদাৎ হোসেন আজাদকে অবহিত করেন।৯ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী নিজেই প্রক্টর অফিসে লিখিত ভাবে অভিযোগ করলে সংবাদটি বিভিন্ন মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ভিসি তাৎক্ষণিকভাবে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির আহবায়ক প্রফেঃ ড.শাহাদাৎ হোসেন আজাদ, সদস্য সচিব ডিপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মোঃআলীবদ্দীন খান,অন্যান্য সদস্যরা হলেন, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেঃড.শেলীনা নাসরীন, আইন প্রশাসক প্রফেঃ ড.আনিচুর রহমান এবং ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক মিঠুন বৈরাগী। তদন্ত কমিটি গত ২৩ সেপ্টেম্বর অধিকতর তদন্তের স্বার্থে উন্মুক্ত তথ্য গ্রহণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ এইচ এম আলী হাসান জানান,ইবি প্রশাসন র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে।২৬০তম সিন্ডিকেট সভায় ফুলপরীকে র্যাগিংয়ে জড়িত পাঁচ শিক্ষার্থীকে ইবি প্রশাসন স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করেছে। কমিটির তদন্ত রিপোর্ট অফিসে এসে পৌঁছেছে। প্রমাণ পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।অন্যদিকে ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করেছেন।