গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস পালিত

news paper

গবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৫-৯-২০২৩ রাত ১০:১৭

57Views

"Pharmacist strengthening health systems" এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) পালিত হলো "বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস ২০২৩"।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটক্যালস লিঃ এর জেনারেল ম্যানেজার (প্রোডাকশন) জনাব মোঃ মিয়াজউদ্দিন মাহমুদ কেক কাঁটার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।

ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবন থেকে র‍্যালি বের হয়ে , বকুলতলা,  প্রশাসনিক ভবন হয়ে একাডেমিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। র‍্যালিতে ফার্মেসী বিভাগের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

র‍্যালী শেষে দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে এক আলোচনার সভা আয়োজন করা হয়।

উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন," ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল কলেজ এর জন্য যে যে নীতি প্রণয়ন করেছিলেন তার জন্য সারা বাংলাদেশের মানুষ তাকে স্মরণ করবে। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ নিয়ে তার স্বপ্ন ছিল, এখান থেকে পড়ালেখা শেষ করে দেশের বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীগুলোতে কাজ করার মাধ্যমে দেশের মানুষের সেবা করবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটক্যালস লিঃ এর জেনারেল ম্যানেজার (প্রোডাকশন) জনাব মোঃ মিয়াজউদ্দিন বলেন, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে পারে ফার্মেসি শিক্ষা। তাই, দক্ষ ফার্মাসিস্ট তৈরীতে এ শিক্ষাকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের লাইব্রেরিতে মেডিক্যাল বিষয়ক কিছু বই আছে যা অন্যান্য অনেক লাইব্রেরিতে নেই। এই বই গুলো বাংলাদেশের অনেক লাইব্রেরিতে যুক্ত করা উচিত।

তিনি আরো বলেন, ফার্মেসি ঐতিহ্যবাহী ও বৈশিষ্ট্যমন্ডিত একটি বিষয়। ড.জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করে গেছেন যা এখনো চলমান। দেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের সেই পথে ধাবিত হতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় প্রধান ড. মোখলেসুর রহমান সরকার বলেন, "বাংলাদেশে ফার্মেসি শিক্ষার যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে তখন সিট সংখ্যা ছিল মাত্র ২০টি। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ফার্মেসি শিক্ষার ক্ষেত্রে অন্যতম অবস্থানে রয়েছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়।"

তিনি আরো বলেন, 'আমাদের ফার্মাসিস্টরা মূলত ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন অথচ সারা পৃথিবীতে যেমন আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ মালয়েশিয়ার সিঙ্গাপুরে দোকানে ঔষধ কিনতে গেলে সেখানেও একজন ফার্মাসিস্ট থাকেন। হেলথ সেক্টরে তিনজন লোক অত্যাবশাক একজন ডাক্তার দ্বিতীয়ত একজন ফার্মাসিস্ট এবং একজন নার্স। বাংলাদেশ ফার্মাসিস্ট্রিদের কাজের ক্ষেত্রে বাড়াতে হবে যেমন, হসপিটাল ফার্মাসিস্ট,  ক্লিনিক্যাল ফার্মাসিস্ট তবেই অপ্রয়োজনীয় ঔষধ প্রয়োগের অসুবিধা থেকে পরিত্রান পাবে বাংলার মানুষ।'

অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে ড. মিয়াজুদ্দিন মাহমুদকে  সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও বিভাগীয় প্রধান ড. মোখলেছুর রহমান সরকার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন, রেজিস্ট্রার এস. তাসাদ্দেক আহমেদ, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ইকবাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ সিরাজুল ইসলাম।

দিনব্যাপী আয়োজনে ফার্মেসি বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা এবং অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, সারাবিশ্বে দিবসটি পালন করা হলেও বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ২০১৪ সালে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় 'বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস' পালন করা হয়েছিল।


আরও পড়ুন