পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর এর স্ত্রী ৪১তম বিসিএসে সহকারী পুলিশ সুপার

news paper

শাওন হুসাইন

প্রকাশিত: ১০-৮-২০২৩ বিকাল ৫:৩

670Views

আহমেদ ইমতিয়াজ শুভ্র বাংলাদেশ পুলিশের উপ-পরিদর্শক। স্ত্রী লিজা আক্তার বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অফিসার । দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী । এক বিভাগের পড়াশোনা শেষে এবার একই বিভাগ বাংলাদেশ পুলিশে চাকরি । শুভ্র তিন বছর আগে সাব ইন্সপেক্টর (নি:) হিসেবে যোগদান করেছেন। ইমতিয়াজ শুভ্র বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন অফিসার হিসেবে পুলিশে কর্মরত আছেন । এবার ৪১তম বিসিএসে তার স্ত্রী লিজা আক্তার পুলিশ ক্যাডারে ১০ তম স্থান অধিকার করেছেন । পুলিশ বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার পদে চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত এবং ৪৩ ও ৪৪ তম বিসিএসেও লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষায় লিজা । শুভ্র ও লিজা বিয়ে করেছেন চলতি বছরের মে মাসে । বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে দুজনই স্বপ্ন দেখতেন বাংলাদেশ পুলিশে চাকরি করে মানুষের সেবা করবেন ।সেই স্বপ্ন এখন সত্যি । আহমেদ ইমতিয়াজ শুভ্রর গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের শরনখোলায় । আর লিজা আক্তারের বাড়ি ময়মনসিংহ । শুভ্র ২০১৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগে সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি হন। লিজাও একই বিভাগে ২০১৪ সালে ভর্তি হন। এরপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগে ২০১৫ সালে  তাদের পরিচয় থেকে পরিণয় । স্ত্রীর সফলতায় স্বামী শুভ্র তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, আমাদের দুজনেরই স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করে দেশ সেবায় ব্রতী হওয়া। আমাদের লক্ষ্যে আমরা অটুট ছিলাম। আমি ৩ বছর পূর্বেই পুলিশে এসআই হিসেবে যোগদান করি। লিজা ৪১বিসিএসে ক্যাডার হয়ে এএসপি হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয় যা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং গৌরবের বিষয়। আমাদের স্বপ্ন আজ সত্যি বাস্তবে রূপ নিল।।

 লিজা আক্তার সহকারী পুলিশ সুপার হওয়ার পরে তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন- বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ  হয়ে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করা, আমার এবং মা-বাবার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল। আল্লাহর অশেষ রহমত ও সকলের দোয়ায় তা আজ বাস্তবে রুপ নিল। শুভ্র সবসময় আমাকে বলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে ঘরে বসে না থেকে অন্যের পরিচয়ে পরিচিত না হয়ে নিজের আইডেন্টিটি তৈরি করো। নিজে ভালো কিছু করো। আজ নিজের আইডেন্টি তৈরি করতে পেরেছি।  বিসিএস ক্যাডার এএসপি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে পারব এতে সত্যিই আমি আনন্দিত।
 
 শুভ্র ও লিজা আক্তারের এই সাফল্যগাঁথায় খুশি পরিবার বন্ধু ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীরা । তারা আগামী দিনের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন ।


আরও পড়ুন