উপজেলা প্রতিষ্ঠার ৪০ বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি নাঙ্গলকোট

news paper

তাজুল ইসলাম মিয়াজী, নাঙ্গলকোট

প্রকাশিত: ৬-৮-২০২৩ দুপুর ৪:১০

275Views

কমিল্লার নাঙ্গলকোট, একটি উপজেলার নামই শুধু নয়, বীরত্বে গাঁথা বহু আন্দোলন সংগ্রামের নাম। ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এক জনপদের নাম নাঙ্গলকাট।
 
পূর্ব বাংলার ইতিহাসে সমতট অঞ্চলের কাহিনীর অধিকাংশ পাতা জুড়ে এ এলাকার তথ্য স্থান পেয়েছে। শিক্ষা, সংস্কৃতির আন্দোলন সংগ্রামে নাঙ্গলকোট।
 
নাঙ্গলকোটের মানুষের দুঃখ কষ্ট আর বঞ্চনার ইতিহাস শুধু নাঙ্গলকোটে চাপা থাকেনি অল্পেতুষ্ট এখানকার মানুষের কল্পকথা, না পাওয়ার ব্যাথা, সব হারানোর ইতিহাস বিখ্যাত লেখক শহীদুল্লাহ কায়সারের ধারাবাহিক নাটক সংশপ্তকে কালজয়ী চলচিত্রকার জহির রায়হানের জীবন থেকে নেয়া ছবিতে ফুটে উঠেছে।
 
জনপ্রিয় লেখক ইমদাদুল হক মিলন লেখা নাটকে নাঙ্গলকোটের মানুষের প্রত্যাহিক জীবন চিত্রের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। 
 যুগে যুগে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে নাঙ্গলকোটবাসী তাদের বীরত্বের পরিচয় দিয়েছে। নাঙ্গলকোট বাসীর যতটুকু অর্জন তা কারো দানে নয় পুরোটাই আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে অর্জিত হয়েছে।
 
কুমিল্লা বিভাগ আন্দোলনের পুরোধা এডভোকেট মোখলেছুর রহমান চৌধুরী কুমিল্লা ও নোয়াখালীর মধ্যবর্তী স্থানের জেলা আন্দোলনের অন্যতম সদস্য ও নোয়াখালীর মধ্যবর্তী স্থানের জেলা আন্দোলনের অন্যতম সদস্য গফুর মজুমদার ও রফিকুজ্জামানের পিতৃভূমি এ নাঙ্গলকোট। 
 
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বীর নাঙ্গলকোট বাসীর স্বপ্নের দাবী কুমিল্লা ও নোয়াখালীর মধ্যবর্তী স্থান তথা দুটি জেলার হৃদপিন্ড বলে খ্যাত নাঙ্গলকোট উপজেলাটি ১৯৮৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা হয়।
 
উপজেলা প্রতিষ্ঠার পূর্বে এটি লাকসাম ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার অংশবিশেষ ছিল। কিন্তু নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রতিষ্ঠার ৪০ বছরেও দেশের জন্য জাতির জন্য স্বাধীনতার জন্য স্বতস্ফূর্ত ভাবে প্ৰাণ উৎসর্গকারী নাঙ্গলকোট বাসীর শ্রম আর মেধার সঠিক মূল্যায়ন আজো হয়নি। নাঙ্গলকোটের মানুষ আজো পায়নি সুন্দর যাতায়াত সুবিধা, এখানকার কৃষক পাচ্ছেনা উৎপাদিত পন্যের ন্যায্য মূল্য।
 
হিমাগারের অভাবে কৃষকের উৎপাদিত ফসল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি চোখের সামনে পঁচতে দেখে। খেলার মাঠের অভাবে খেলোয়াড় তৈরী হচ্ছেনা, নেই কোন বিনোদন কেন্দ্র, ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের অভাবে যায়না আগুন নেভানো।
 
নাঙ্গলকোটের বুকচিরে চলে যাওয়া গ্যাস আর রেল লাইন যেন তাদের অনাত্মীয়। এছাড়া ও প্রশাসনিক সুবিধার অভাব জনিত কারনে নাঙ্গলকোবাসীকে পূজিপতি ও স্বার্থবাদী এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হাতের পুতুল হয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। অন্যার্য ও অনাকাঙ্খিত যন্ত্রনা কাতর এখানকার মানুষ। শৃঙ্খলা প্রত্যাশী হয়েও পাচ্ছেনা শান্তি।

আরও পড়ুন