ঈশ্বরদীতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬

news paper

এম মাহফুজ আলম, পাবনা

প্রকাশিত: ২৮-৫-২০২৩ বিকাল ৫:৪৫

9Views

পাবনার ঈশ্বরদীতে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায়  গ্রেপ্তারকুত ৬ যুবদল নেতা-কর্মীকে রোববার (২৮ মে  ) জেলহাযতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার (২৭ মে) রাত সাড়ে আটটার দিকে ঈশ্বরদী রেলগেট বন্ধ থাকায় পূর্ব ও পশ্চিম পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে পশ্চিম পাশে বিমানবন্দরের দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস আড়াআড়িভাবে দাঁড়ালে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং যানজট তীব্র আকার ধারণ করে।
এ সময় ট্রাফিক কনস্টেবল জাহিদ মাইক্রোবাসটির চালককে এক পাশে রাখার জন্য বলেন। কনস্টেবল জাহিদের কথা না শুনে যুবদল নেতা সোনামনিসহ অন্যরা তাকে গালিগালাজ ও মারমুখী আচরণ করতে থাকেন।
একপর্যায়ে টিএসআই জাহিদ এগিয়ে এসে গাড়ি সোজা করার অনুরোধ করেন। কথাকাটাকাটির ঘটনা বডিঅন ক্যামেরায় রেকর্ড হচ্ছে বুঝতে পেরে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে কনস্টেবল ও টিএসআইকে মারধর শুরু করেন তারা। মারধরের মধ্যেই ট্রাফিক সদস্যরা সোনামনিকে টেনে- হেঁচড়ে থানায় নিয়ে যান।  অন্যরা রেলগেট এলাকায় বিএনপি  নেতা জাকারিয়া পিন্টুর অফিসে আশ্রয় নেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে রাতেই ঈশ্বরদী থানায় মামলা করে পুলিশ। তারও পরে পুলিশ পিন্টুর অফিসের তালা ভেঙে তাদেও গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন-উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোনামনি, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাকির জুয়েল, চয়ন, হাবিব, তরিকুল ও মামুন।
ঈশ্বরদী ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, তাৎক্ষণিক ঘটনা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হলে পুলিশ পিন্টুর অফিসের তালা ভেঙে  সেখান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। তবে বডিঅন ক্যামেরা উদ্ধার হয়নি।
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুলতান আলী টনি বিশ্বাস বলেন, বিস্তারিত ঘটনা জানি না। শুনেছি পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান বাসির ট্রাফিকের ওপর হামলার ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, জাকারিয়া পিন্টুর অফিসে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে টিএসআই জাহিদ বাদি হয়ে মামলা করেছেন।


আরও পড়ুন