অভিনব কায়দার প্রতারনাঃ ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক চক্র
প্রকাশিত: ২৭-৫-২০২৩ দুপুর ৪:৪৭
প্রতারক চক্র অভিনব কায়দায় প্রতারনা করিয়া ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক দলিল লেখকের, ঘটনাটি ঘটেছে নারায়নগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জ থানার আওতায় সোনা মিয়া মার্কেট সংলগ্ন আলাউদ্দিন পাটোয়ারিয়ার বাড়ী।
মামলার সূত্রে ও ভূক্ত ভোগির সূত্রে জানা যায় যে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার লোহাইড় গ্রামের ইমরান হোসেন একজন দলিল লেখক। মামলার আজ্ঞাত আসামীরা প্রতারক চক্রের সদস্য প্রতারক চক্রের ১নং বিবাদী তার ছদ্দ নাম ব্যবহার করে ০১৯৭৩০৩৫৪৪ ও ০১৯৬১৯৬৮৮২০ নাম্বার দিয়ে মামলার বাদী ইমরান হোসাইন এর ০১৭৩২৫২২১২৯ এই নাম্বারে ফোন দেয় এবং বলে বড় অংকের টাকার একটি দলিল আছে আপনি ঢাকা আসেন। এমন বিশ^াসে মামলার বাদী ঢাকা যায় এবং ছদ্দ নামী মোশারেফ এর সাথে দেখা করে, মোশারেফ তার ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে যায় গত ১২ মে ২০২৩ ইং তারিখে। মামলার বাদী ইমরান হোসাইনকে নানা ভাবে আপ্যায়ন করে এবং অনেক টাকার দলিল হবে এমন প্রতারনা করিয়া প্রতারক চক্র নগদ ১ লাখ টাকা নিয়ে নেয়। এর পর আবার মামলার বাদী ইমরান হোসাইনকে আবার পূনরায় ১৪ মে ২০২৩ ইং তারিখে যাইতে বলে এবং ইমরান হোসাইন পৌছাইলে কৌশলে আবার নগদ ২ লাখ টাকা নিয়ে নেয়। মোট প্রতারক চক্র ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এর পরে ইমরান হোসাইনকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। প্রতারক চক্র বলে আমরা আগামীকাল মুকসুদপুর আসতেছি দলিল করার জন্য কিন্তু প্রতারক চক্র না আসিয়া তাহাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করিয়া রাখে এর পর ইমরান হোসাইন বুঝতে পারে আসলে দলিল করবেনা। এরা প্রতারক চক্র। এই ঘটনায় ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে অজ্ঞাত নাম দিয়ে ও মোবাইল নম্বর দিয়ে গত ১৯ মে ২০২৩ ইং তারিখ সিদ্দিরগঞ্জ থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন যাহার নম্বর ৪৩। মামলার পর অভিযান চালিয়ে তদন্ত কারী কর্মকর্তা এস,আই মশিউর রহমান (নয়ন) দুই জনকে গ্রেফতার করেন। এর মধ্যে একজন ছদ্দ নামীয় মোশারেফ তাহার আসল নাম জয়নাল এবং রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে জয়নাল ও রবিউলকে আদালতে শপর্দ করে। তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি যানান এর প্রতারক চক্রের সদস্য এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এদের সাথে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারের অভিযান চলমান এবং তদন্ত করলে চক্রের মূল হোতা পাওয়া যাবে।