বিরল প্রজাতির ধনেশ ছানাসহ ২ পাচারকারী বাঁশখালীতে আটক
প্রকাশিত: ২৬-৫-২০২৩ বিকাল ৫:৩৭
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সরকারের নানা মুখি পদক্ষেপ থাকা সত্বেও অবৈধ উপার্জন করার লক্ষ্যে বন্য পাখি(রাজ ধনেশ ছানা)পাচারকালে কক্সবাজার জেলা ও বাগেরহাটের ২ পাচারকারী সদস্যকে (৪টি রাজ ধনেশ ছানাসহ) আটক করেছে বাঁশখালী থানা ও উপজেলা প্রশাসন।
২৫ মে (বৃহস্পতিবার)রাতে সাড়ে ৯টা দিকে বিক্রয় নিষিদ্ধ বণ্যপাখি বিক্রয় /পাচারের গোপন সংবাদ পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান এর নেতৃত্বে রামদাস মুন্সির হাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সোলাইমান ও সঙ্গীয় ফোর্স সদস্যসহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে পাখি বিক্রয় করে অবৈধ উপার্জন করার লক্ষ্যে পাচারকালে ৪টি রাজ ধনেশ ছানাসহ ২জন বণ্য পাখি পাচারকারী সদস্যকে উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের গুনাগরী এলাকা থেকে আটক করা হয়।এসময় আটককৃত আসামীদের হেফাজতে থাকা বিরল প্রজাতির ৪টি রাজ ধনেশ পাখির ছানা উদ্ধার করেছে প্রশাসন।
আটককৃত আসামীরা হলো,কক্সবাজার বাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার দীঘার পানখালী এলাকার আব্দুল মালেক এর পুত্র মোঃ সেলিম (৫২) এবং বাগেরহাটের সরনখোলার পূর্বআোন্তাকাটা এলাকায় মৃত্যু ফজলুল হকের পুত্র মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (৪২)।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান জানান,রাজ ধনেশ পাখি বিক্রয়/ পাচারের উদ্দেশ্য পরিবহন করার অপরাধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এর ৩৪ ধারার অপরাধে মোহাম্মদ সেলিম (৫২) পিং - আবদুল মালেক এবং কক্সবাজার জেলার একজন এবং কক্সবাজার জেলার সেলিম ও বাগেরহাটের মিজানুর রহমানকে আটকপূর্বক পাখি বিক্রয়/ পাচারের উদ্দেশ্য পরিবহন করার অপরাধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এর ৩৪ ধারার অপরাধে তাদের প্রত্যেককে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।