চীন-পাক অর্থনৈতিক করিডোর আঞ্চলিক শান্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে : পাক প্রেসিডেন্ট

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি সম্প্রতি চায়না মিডিয়া গ্রুপ- সিএমজিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে- সি চিন পিংকে পুনরায় চীনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হাওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ ও ‘চীন-পাক বন্ধুত্বের’ প্রতি উচ্চ প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি, তিনি মনে করেন, বর্তমান বিশ্বে প্রচুর পরিবর্তন হচ্ছে, সবার উচিত আন্তর্জাতিক চিন্তা ধারণ করা।
তিনি সি চিন পিংকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই নির্বাচন দেশ প্রশাসনের খাতে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বড় অর্জন এবং সিপিসি’র প্রতি জনগণের বিরাট সমর্থন ও স্বীকৃতির প্রমাণ। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ে নেতৃত্বে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চীন সুষ্ঠু ভাবমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছে এবং মানবজাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে। দেশ প্রশাসন-বিষয়ক প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের চিন্তাধারা ও কর্মকাণ্ড শুধু চীনের পরিবর্তনই নয়, বিশ্বের জন্যেও ইতিবাচক অবদান রেখেছে। বিশ্বশান্তি বিবেচনায় প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ফের নির্বাচিত হওয়া চীন, এতদাঞ্চল ও বিশ্বের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ২০১৩ সালে প্রথম মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটির ধারণা উত্থাপন করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি, চীন একটি অসাধারণ পদ্ধতিতে বিশ্বের উন্নয়ন এগিয়ে নিচ্ছে। এ ছাড়া, দারিদ্র্যবিমোচন খাতেও চীনের সফলতা পাকিস্তানসহ নানা দেশের জন্য মডেল সৃষ্টি করেছে। সবাই এখন চীন থেকে সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করছে। এ ছাড়া চীন শিক্ষা ও গণস্বাস্থ্য খাতে অনেক গুরুত্ব দেয়। পাকিস্তানও এচেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি চীন বিশ্বশান্তির জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট সি’র উত্থাপিত মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটির ধারণা তাৎপর্যপূর্ণ। এ ধারণা মানবসভ্যতার শান্তির জন্য বড় অবদান। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং উত্থাপন করেছে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ, চীন-পাক অর্থনৈতিক করিডোর- যা মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি বাস্তবায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা।
এ বছর ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ উত্থাপন ও চীন-পাক অর্থনৈতিক করিডোরের দশম বছর। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি, পাক জনগণ ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের সুফল নিয়ে সন্তুষ্ট। পাকিস্তান চীনের অত্যন্ত বিশ্বস্ত অংশীদার। দু’দেশের মধ্যে ‘লোহার মতো’ ভ্রাতৃত্ব রয়েছে। যা পাহাড়ের চেয়েও উঁচু, সাগরের চেয়েও গভীর। দু’দেশের জনগণের বন্ধুত্ব বিশ্বে বিরল। তিনি মনে করেন, চীন-পাক অর্থনৈতিক করিডোর আঞ্চলিক শান্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের ১০ বছরে দু’দেশের উচিৎ হাতে হাত রেখে চীন-পাক অর্থনৈতিক করিডোর এগিয়ে নেওয়া।
সূত্র: আকাশ, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
এমএসএম / এমএসএম

২২ দেশে ২৪ হাজার কোটি ডলার খরচ চীনের

বিক্ষোভের জেরে পিছু হটলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ ওমরাহ যাত্রী নিহত

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন বার্তা

জান্তাবিরোধী প্রতিরোধ চূর্ণ করার অঙ্গীকার মিয়ানমার সেনাপ্রধানের

তাইওয়ানকে দূরে ঠেলে চীনের হাত ধরল হন্ডুরাস

নির্বাচন আয়োজনের ‘টাকা নেই’ পাকিস্তান সরকারের কাছে

বাখমুত দখলে ব্যর্থ রুশ বাহিনী, স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি

মিয়ানমারের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

হিনডেনবার্গের প্রতিবেদনে এবার ডুবছেন জ্যাক ডরসি

সিএমজি ও রাশিয়ান সংবাদপত্রের মধ্যে সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত

পুতিনের সঙ্গে সি চিন পিংয়ের বৈঠক: আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা

ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা সত্ত্বেও সুদহার বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র
Link Copied