সড়ক দখল করে নিজস্ব গোডাউনের মাল মজুদ করছে ম্যাক্সিম গ্রুপ

news paper

বজলুর রহমান‍

প্রকাশিত: ১৯-৩-২০২৩ বিকাল ৫:৩৫

27Views

রাজধানীর ডেমরা- রামপুরা মহাসড়কের মেন্দিপুর এলাকায় সড়ক ও জনপথ এর রাস্তা দখল করে নিজস্ব গোডাউনের মতোই পন্য মজুদ করছে ম্যাক্সিম গ্রুপ। ম্যাক্সিম গ্রুপ হচ্ছে একটি সরঞ্জাম পরিষেবা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও দুর্নীতি দমন কমিশনে ৩০৪ কোটি ১০ লাখ ৫৩ হাজার টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের প্রধান ইয়ার্ড ডেমরা মেন্দিপুর এলাকায়। ডেমরা মেন্দিপুর এলাকার ইয়ার্ডের বাইরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সরকারি জমি দখল করে তারা তাদের পণ্য পরিষেবা কার্যক্রম পরিচালিত করছে। তাদের পণ্য পরিষেবা কার্যক্রমে সড়ক ও জনপথ এর জমি ব্যবহার করায় সড়কে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমনিতেই ডেমরা রামপুরা মহাসড়কটি সবসময় যানজটে জর্জরিত থাকে তার ওপর তাদের এই ধরনের কার্যক্রম মরার উপর খরার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে। 
ম্যাক্সিম গ্রুপের সড়ক দখলের কারণে মেন্দিপুর এলাকার এই পয়েন্টে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান স্থানীয়রা।
 
ম্যাক্সিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক সকালের সময়কে জানান, আমি সড়কের জায়গা ব্যবহার করব তাতে আপনার কি? আমার প্রতিষ্ঠানের সামনে যে জায়গা আছে সেই জায়গা ব্যবহার করার অধিকার আমার আছে আমি আইন কানুন জেনেই এগুলো করছি। প্রতিবেদকের প্রতি তিনি উস্মা প্রকাশ করেন। বিদেশে চিকিৎসাধীন আছেন বলেও প্রতিবেদককে জানান ম্যাক্সিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান।
এ বিষয়ে কথা বললে সড়ক ও জনপথ এর ঢাকা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ বলেন, এ ধরনের কাজ নিয়ম বহির্ভূত আমি বিষয়টা খোঁজ নিয়ে ব্যাবস্থা নিচ্ছি।
 
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৭০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী আতিকুর রহমান বলেন, বিষয়টা আমি দেখেছি তবে তা সড়কের জায়গায় পড়েছে কিনা জানিনা, জনগণের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে অবশ্যই আমি সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।
ডেমরা মেন্দিপুর এলাকার স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ম্যাক্সিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অবৈধভাবে জোরপূর্বক এই সড়কটি দখল করে রাখায় ৭০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে আমরা এর থেকে প্রতিকার চাই।
বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন