আওয়ামী লীগের ৬৬ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সম্পাদক পদে তৃণমূলে আলোচনার শীর্ষে জাফর আহমেদ

news paper

এম. আজম ইকবাল, ডেমরা

প্রকাশিত: ১৯-৩-২০২৩ বিকাল ৫:২৯

34Views

ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। এবারের সম্মেলনে তৃণমূল তাদের পছন্দের নেতা হিসেবে ৬৬ নং ওয়ার্ডে জাফর আহমেদ (বাবু) কে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করতে তৃণমূলের ব্যাপক তোড়জোড় লক্ষ্য করা গেছে।গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার ডেমরা কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃত্ব নির্ধারনে অনুষ্ঠিত হয় ডেমরা থানা ৬৬ নং ওয়ার্ড সহ ছয়টি ওয়ার্ডের সম্মেলন। সর্ব শীর্ষ জাফর আহমেদ (বাবু) ইস্যু কে ঘিরে আলোচনা এখন তুঙ্গে কারণ তিনি ১৯৯৫ সালে থেকে দীর্ঘ ২৮ বছর যাবত আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। আহবায়ক কমিটির সদস্য (সাবেক) নবগঠিত সারুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, (১৯৯৫-১৯৯৬ইং)সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সারুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, ডেমরা থানা(১৯৯৬-২০০২ ইং) সভাপতি (সাবেক) ডেমরা থানা ছাত্রলীগ,(২০০২-২০০৪ ইং) নির্বাচিত সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সারুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ,

ডেমরা থানার ৬৬ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জাফর আহমেদ (বাবু) কে পেতে চায় দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী।তিনি দলের এবং নেতাকর্মীদের আস্থাভাজন প্রিয়মুখ হিসেবে পরিচিত।জাফর আহমেদ বাবু দৈনিক সকালের সময় কে বলেন,(১৯৯১-১৯৯৬ইং) সাল পর্যন্ত জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত হরতাল অবরোধ সহ সকল কর্মসূচিতে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করি, দীর্ঘ ২১ বছর পর(১৯৯৬ )সালে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করি‌।এবং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সহিত পালন করেছি (২০০১) সালে জোট সরকারের রোষানলের শিকার হয়ে বারবার কারাবরণ করতে হয়েছে, (২০০৪ইং) সালে আবারো গ্রেফতারের ২মাস  পর জামিনে মুক্তি পাই, ২০০৪ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদানের ২ মাসের মাথায় মামলা মোকদ্দমার কারণে সরকারী চাকুরী হইতে  বরখাস্ত হই।এছাড়া ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়ে ব্যবসায়িক ভাবে ব্যপক ক্ষতির সম্মুখীন হই,

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ২০০৬ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে স্টাফ কোয়ার্টার ডেমরা পূর্বাঞ্চলের আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে উন্মুক্ত মঞ্চ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করি আমি, ২০০৭ সালে ১/ ১১তে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কঠিন দুঃসময়ে কারাবন্দী প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করি এবং নেত্রীর মুক্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহে দিনরাত কাজ করেছি, ২০০৮ সাল থেকে অদ্যাবধিপর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার পরিচালনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগরের সকল প্রোগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছি।
 ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ সহ ২০১৯ এর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও সদ্য সমাপ্ত ঢাকা ৫ আসনের উপনির্বাচনে বর্তমান ৬৬ নং ওয়ার্ডে নির্বাচন পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলাম। তিনি আরো বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সরকার উন্নয়নের রোল মডেলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেই কাতারে একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমাকে যে কোন দায়িত্ব অর্পণ করলে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করার অঙ্গীকার করছি।

তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত রয়েছেন। ডেমরা ছাত্র- যুব উন্নয়ন সংস্থায় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, ডেমরা উন্নয়ন সংস্থায় সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ডগাইড় নতুনপাড়া এলাকায় বাইতুল মুকাদ্দাস জামে মসজিদ কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, ডগাইড় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, এছাড়াও সারুলিয়া ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ডের সন্ত্রাস ও মাদক প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সফলতার সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।ঢাকা-৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লার একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে তিনি সব সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।


সবদিক বিবেচনায় মোঃ জাফর আহমেদ বাবু কে  ডেমরা থানার ত্রি- বার্ষিক সম্মেলনে ৬৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করার লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের বেশ তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। তাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সহ ফেসবুকেও সরব রয়েছে নেতা কর্মীরা। সম্মেলনে এ ওয়ার্ডের বেশির ভাগ নেতাকর্মীই জাফর আহমেদ বাবু কে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চায়।

৬৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জাফর আহমেদ বাবু   দৈনিক সকালের সময় কে বলেন,বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কাজ করবো।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ও রুপকল্প ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করবো আমৃত্যু।

দলের দূঃসময়ে নেতা কর্মীদের পাশে ছিলাম। ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলার সময় উপস্থিত ছিলাম এবং গ্রেনেড হামলায় নিহত ও আহতদের সেবায় স্বেচ্ছাসেবক এর ভূমিকা পালন করেছি।ঐতিহাসিক ১/১১ লগি বৈঠা আন্দোলন কর্মসূচিতে তৎকালীন বৃহত্তর যাত্রাবাড়ী, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে শ্বশরীরে অংশগ্রহণ করি এবং পুলিশের নির্যাতনের স্বীকার হই।এছাড়া ১৯৯১ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট ছিলাম।

১৯৯১ সালের ২৭  ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিক এর পক্ষে কাজ করেছি।১৯৯৬,২০০১,২০০৮,২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছেন বলেও জানান তিনি।

গত করোনা মহামারীর সময়ে ৬৬নং ওয়ার্ডের  ঘরে ঘরে ত্রান বিতরণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার কাজে সর্বদা নিয়োজিত ছিলেন বলে জানান। ৬৬ নং ওয়ার্ড ডগাইড় রুস্তম আলী হাই স্কুল ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন বলেন, জাফর আহমেদ বাবু একজন কর্মী বান্ধব নেতা, দক্ষ সংগঠক, আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ একজন মাঠ পর্যায়ের কর্মী, তার মতো লোক ৬৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে।

৬৬নং ওয়ার্ডের বামৈল দক্ষিণ ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মাসুদ এর সাথে কথা বলে জানা গেছে,দলের দুঃসময়ে যখন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, তখন আমরা নির্যাতিত নেতাকর্মীরা জাফর আহমেদ বাবুর  কাছে আশ্রয় পেয়েছিলাম। তিনি আমাদের অভিভাবক হিসেবে আশ্রয় দিয়ে আঁকড়ে ধরে দলকে সুসংগঠিত করে রেখেছিলেন।

সারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সারুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম জানান,জাফর আহমেদ বাবু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক,জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত কর্মী,স্থানীয় আওয়ামীলীগের কর্মীবান্ধব নেতা,সাবেক এই  ছাত্রলীগনেতাকে এবারের  সম্মেলনে ডেমরা থানার ৬৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক করা হলে ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের দুর্গ আরও শক্তিশালী হবে।


আরও পড়ুন