হিন্দু মহাজোটের অঙ্গিকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সেবায়েত পূর্নবাসনে
প্রকাশিত: ১০-২-২০২৩ দুপুর ১১:২৪
ঢাকেশ^রী মন্দিরের সেবায়েত পল্টন দাস ও তার পরিবারকে পূর্নবাসনে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক অঙ্গিকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গিতে ১২টি মন্দিরে হামলার প্রতিবাদের সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ঢাকেশ^রী মন্দিরের সেবায়েতের অধিকার ফিরে পেতে আমাদের সহযোগিতা থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৫ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ঠাকারগাঁও বালিয়াডাঙ্গির ৩টি ইউনিয়নে ১৪টি মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে। ওই হামলায় ১৪টি প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জাতীয় হিন্দু মহাজোট গভীর উদ্বেগ, তীব্র নিন্দা ও গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
যে সব মন্দির ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তার মধ্যে মন্দির সমূহের মধ্যে ধনতলা ইউনিয়নের উত্তর সিন্দর পিন্ডি হরিবাসর মন্দির, টাকাহারা পাকা সড়কের পাশর কালিমন্দির, হরি মন্দির, মনষা মন্দির, মালিপাড়া শ্মসান কালি মন্দির, নাথপাড়া সার্বজনীন কালি মন্দির অন্যতম। এছাড়া, পারিয়া ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার ৩টি মন্দির ও চারোল ইউনিয়নের নাথ পড়ায় ১টি মন্দির রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাংচুরের বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয়জন প্রতিনিধিসহ হিন্দু মহাজোটের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। স্থানীয় হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে এ ঘটনায় কোনরূপ উত্তেজনা বিরাজ করছে না। প্রতিমা ভাংচুরের বিষয়টি রাজনৈতিক সড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দারা চিহ্নিত করেছেন। দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় হিন্দু মুসলিমসহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সহাবস্থান করে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে একজন জনপ্রিয় সম্ভাব্য প্রার্থীকে ফাঁসানোর জন্য এই হামলার ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। এটা ঘটনাটি সাম্প্রদায়িতক দ্বন্ধের ফসল নয়, এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রেন অংশ। ঘটনাটি একটি মহল প্রকৃত ঘটনা আড়ালত করে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে চালানার অপচেষ্টায় লিপ্ত। সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক বলেন, ঢাকেশ^রী মন্দিরের সেবায়েত পল্টন দাস ও তার পরিবার সেবায়েত ছিল। এবিষয় আমাদের জানা আছে। পল্টন দাস আইনী লড়াই করছেন। তাদের সঙ্গে আমরা আছি এবং থাকবো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, হিন্দু মহাজোটের সভাপতি বিধান বিহারী গোস্বামী, নির্বাহী সভাপতি এড. দীনবন্ধু রায়, সিনিয়র সহসভাপতি এড, প্রদীপ পাল, প্রেসিয়িাম মেম্বার অভয় কুমার রায়. সাংগঠনিক সম্পাদক সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী, হিন্দু মহিলা মহাজোটের সভাপতি এড. লাকী বাছাড় সহ প্রমুখ।