বুকে শব্দ/কাশি : সমাধান গ্যাস দেয়া(Nebulisation) নাকি মুখে খাওয়ার ঔষধ?

news paper

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩১-১২-২০২২ দুপুর ২:২৬

1270Views

দুই বছর বয়সের ছামিয়া কে নিয়ে সরলা-দর্শন এক মায়ের আমার চেম্বারে প্রবেশ। সমস্যা: কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে বাঁশির মতো শব্দ। প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা শেষে রোগ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেওয়া শেষে  কিছু উপদেশ দিয়ে কিছু ঔষধ সহ গ্যাস দেয়ার কথা বললাম। বাচ্চার মা শান্ত , কিন্তু অত্যন্ত দৃঢ কন্ঠে বললেন, “স্যার, গ্যাস দেওয়ার দরকার নাই, আপনি খাওয়ার ঔষধ ই লিখে দিন”।
 
আমি স্মিত হেসে জিজ্ঞেস করলাম, “কেন? গ্যাস দিলে সমস্যা কি?”
মা: শুনেছি, গ্যাস দিলে বারবার গ্যাস ই দিতে হয়। তাছাড়া, এতে অনেক ক্ষতি হয়; বুক ঝাঝরা হয়ে যায়
হ্যা, অধিকাংশ অভিভাবক এর নেবুলাইজেশন সম্পর্কে ধারণা এরকমই
 
প্রকৃত সত্য:
ফুসফুসের ছোট বায়ূকুঠুরী গুলো চুপসে গিয়ে সাধারণত বুকে শব্দ/কাশি বা শ্বাসকষ্ট হয়। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত আমরা এরূপ ঔষধ ব্যবহার করি যা বায়ুকুঠুরী কে প্রশস্ত করে(bronchodilator)। সেটা মুখে খাওয়ার ঔষধের মাধ্যমেও সম্ভব, আবার একই ধরনের ঔষধ গ্যাসের মাধ্যমে দিয়ে ও সম্ভব। খাওয়ার ঔষধ দিলে সেটা পাকস্থলি থেকে শোষিত হবে, তারপরে রক্তে যাবে। রক্ত শরীরের সব জায়গায় যায়, যার কিছুটা অংশ ফুসফুসে যায়। ঔষধ ও রক্তের মাধ্যমে ফুসফুস সহ সব জায়গায় যায়, যার মধ্যে ফুসফুসে যাওয়া অংশটুকুই শুধু কাজে লাগে; বাকীটুকু ব্যবহৃত হয় অকাজে (পার্শপ্রতিকৃয়া করে, যেমন: হাত-পা কাঁপে, বুক ধরফর করে, অস্থিরতা তৈরী হয়)।পক্ষান্তরে, গ্যাসের মাধ্যমে ঔষধ দিলে তা সরাসরি ফুসফুসে যায়। ফলে কাজ যেমন দ্রত করে, তেমনি পার্শপ্রতিকৃয়া ও কম হয়। সুতরাং, গ্যাসের মাধ্যমে ঔষধ প্রদান নিশ্চিত ভাবে better।
 
ডাঃ খালিদ আহমেদ সাইফুল্লাহ
সহকারী অধ্যাপক (শিশুরোগ),
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর।

আরও পড়ুন