শীত জেঁকে বসার আগেই লেপ-তোশক তৈরির ধুম

news paper

এম.এ.হান্নান মিয়া, কমলনগর

প্রকাশিত: ৮-১২-২০২২ রাত ৮:৫৫

190Views

শীত এলেই লেপ তোষক বানানোর ধুম পড়ে যায় দোকানে দোকানে। কিছু দিন পরেই জেঁকে বসবে শীত। এবার শীত জেকে বসার আগে তাই লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগেছে কমলনগর সদর উপজেলার সকল সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে।

ফলে লেপ-তোষকের দোকানে বাড়ছে বেচা-কেনা। এসব দোকানের কর্মচারীদের এখন অলস সময় কাটানোর একদম সুযোগ নেই। উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার ও পাড়া-মহল্লাতে লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা এখন হাঁক-ডাক করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তুলা, লেপের কাপড় ফোম এবং মজুরী গত বছরের তুলনায় এবার বেশী বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা। এসব দোকানে দিন দিন বেড়েই চলছে লেপ-তোষক ক্রেতাদের ভীড়। এদিকে শীত বস্ত্র বিক্রির দোকানেও ভীড় ও কেনাকাটা জমে উঠতে শুরু করেছে।

উপজেলা ঘুরে দেখা যায়,শুধু লেপ-তোষক তৈরিই নয়,শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদ ও ব্যবহার্য সামগ্রীতেও পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। পাতলা পোশাকের পরিবর্তে অনেকেই মোটা জামার দিকে ঝুঁকছেন। তাই এখন কদর বাড়তে শুরু করেছে গরম পোশাকেরও। এছাড়া শীতের সময় কাঁথা,কম্বল, চাঁদর বা শাল,শীতের টুপি,হাতমোজা,মাফলার,জাজিম ও কার্পেটের ব্যবহার ও বিক্রি বেড়ে যায়।

হাজির হাট বাজারের রিয়া বেডিং স্টোরের সত্বাধিকারী মোঃ বেলাল বলেন,শীত সবে মাত্র আসতে শুরু করেছে।এর আগেই লেপ-তোষক তৈরির অর্ডারও পাচ্ছি ভালো। আমরাও ব্যস্ত সময় পার করছি। শীত বাড়ার সাথে সাথে ব্যবসা আরো বৃদ্দি পাবে। তবে জিনিষপত্রের দাম বেশি হওয়ায় তাদের ইচ্ছমতো লেপ-তোষক বানাতে পারছেন না। পুঁজি স্বল্পতার কারণে বেশি মাল তৈরি করতে পারছি না। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০টি লেপ তৈরী হয়ে থাকে।

লেপ তোষক তৈরীর একজন কারিগর বলেন,আমি দীর্ঘকয়েক বছর যাবত লেপ তোষকের কারিগর হিসেবে কাজ করে আসছি। আমার বাবাও একজন লেপ তোষকের কারিগর ছিলেন। বাবার সুত্র ধরেই আমিও আজ চার দশক ধরে এ পেশার সাথে জড়িত রয়েছি।

হাজির হাট বাজারে লেপ-তোষক কিনতে আসা মোঃ আজগর জানান, শীত পড়তে শুরু করেছে। বেশি শীত পড়ার আগেই নতুন লেপ-তোষক তৈরি করতে এসেছি। কিন্তু তুলা, কাপড় ও কারিগরের মুজুরি বেশি হওয়ায় দুটোর স্থলে একটা বানিয়ে নিলাম।


আরও পড়ুন