খুরশীদ আলমকে প্রত্যাহার চায় বাছিরের পরিবার

news paper

সাজেদা হক

প্রকাশিত: ২৪-১১-২০২২ দুপুর ১২:২৭

49Views

দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষের আইনজীবী পরিবর্তনের আবেদন করেছে সাবেক পরিচালক খোন্দকার এনামুল বাছিরের পরিবার।  সম্প্রতি দুদকে করা এক আবেদনে বাছিরের পরিবার জানায়, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে, বিনা দোষে দায়ের করা মামলায় কারাভোগ করছেন খোন্দকার এনামুল বাছির। বিনা দোষে মামলা হলেও বিচারিক আদালতে সুবিচার পাননি বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

আবেদনে বলা হয়, খোন্দকার এনামুল বাছিরের দেয়া প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করেই সাবেক ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা এখনো চলমান। সেই মামলায় দেয়া সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ক্রিমিনাল আপীল নম্বর ২৭৭১/২০২২ আনেন খোন্দকার এনামুল বাছির। অন্যদিকে দুদকের বিজ্ঞ আইনজীবী খুরশীদ আলম খানও বর্ণিত সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে আরেকটি ফৌজদারি রিভিশন নং ১৫৭০০/২০২২ এবং আরও একটি ফৌজদারির আপিল নং ৩৯৭১/২০২২ দায়ের করেন, যার বক্তব্য অসত্য এবং স্ববিরোধী। 

একাধিকবার খোন্দকার এনামুল বাছিরের জামিনের আবেদনের শুনানীতে এবং মামলার পরিচালনার সময় আদালতে রেকর্ডের বাইরেও আপত্তিকর বক্তব্য পেশ করেন বিজ্ঞ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। দুদকের লিগ্যাল অনুবিভাগের পরিচালকের দায়িত্ব পালনের সময় বিজ্ঞ এই আইনজীবীর সাবমিট করা প্রফেশনাল বিলে অনিয়ম থাকায় বহুবার ন্যায়সঙ্গতভাবে বর্ধিত বিল কর্তন করেছেন খোন্দকার এনামুল বাছির। তখন থেকেই বিজ্ঞ এই আইনজীবী এবং খোন্দকার এনামুল বাছিরের বৈরী সম্পর্ক তৈরি হয়। সে কারণেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিজ্ঞ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সব সময় হেয় প্রতিপন্ন করেন এবং প্রতিশোধ পরায়ন মনোভাব নিয়ে তিনি যাচ্ছেতাইভাবে রেকর্ড প্রমাণ ছাড়াই বক্তব্য পেশ করেন। একই সাথে আদালতের উপর প্রভাব বিস্তার করে, নিজের সিনিয়রিটির ক্ষমতা দেখিয়ে খোন্দকার এনামুল বাছির কে ন্যায় বিচার হতে বঞ্চিত করছেন। 

দুদকে করা আবেদনে আরও বলা হয়, বিজ্ঞ আইনজীবী খুরশীদ আলম খানকে পরিবর্তন করে ২০১৫ সালের পরবতীতে দুদকে নিয়োগ পাওয়া যেকোনো বিজ্ঞ আইনজীবীকে  ফোজদারী আপীল মোকদ্দমা নং ২৭৭১/২০২২, ৩৯৭১/২০২২, ১৫৭০/২০২২ মামলা পরিচালনা জন্য দায়িত্ব দিলে ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব হবে। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে প্যানেলভুক্ত আইনজীবী খুরশীদ আলম খানকে ফোজদারী আপীল মোকদ্দমা নং ২৭৭১/২০২২, ৩৯৭১/২০২২, ১৫৭০/২০২২ ফোজদারী আপীল মোকদ্দমা নং ২৭৭১/২০২২, ৩৯৭১/২০২২, ১৫৭০/২০২২ থেকে অব্যাহতি দিতে আদেশ দেয়ার আবেদনও করা হয়। 


আরও পড়ুন