লাখো মানুষের এক মাত্র ভরসা কেফায়েত আলীর বাঁশের সাকো

news paper

সাইদুল ইসলাম আবির, রায়গঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯-১১-২০২২ দুপুর ১:১২

35Views

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ধানগড়া ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ফুলজোর নদী অতি প্রাচীনতম এই নদী সবার কাছেই পরিচিত। ফুলজোর নদীর দু পারে লাখো মানুষের বসবাস। এপার এবং ওপারের মানুষের সাথে নিবিড় সর্ম্পক রয়েছে। এই নদী পারের মানুষের  যোগাযোগের একমাত্র পথ নৌকা। দেশের সকল জায়গা উন্নয়নের ছোয়া লাগলেও ছোয়া লাগেনি উপজেলার  ঘুড়কা ও ধানগড়া এই দুই  ইউনিয়নের  মাঝ দিয়ে বয়ে চলা ফুলজোর নদীর বুকে একটি ব্রিজ।

দীর্ঘ কয়েক যুগ হলো নদীর দুই পারের সাধারণ মানুষ চলাচলের বাহন হিসেবে  নৌকা ব্যবহার করে আসছে। আর এই নৌ যোগে পারাপার খুবই কষ্ট কর ও সময় সাপেক্ষের বিষয়। কথায় আছে নৌকা ফেল তো ট্রেন ফেল তেমনি অবহেলিত ভাবে পরে আছে ধানগড়া ইউনিয়নের জয়ানপুর খেয়াঘাট।

যুগের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু পরিবর্তন হয়নি এই খেয়া ঘাটের। একমাত্র নৌকাই পারাপারের পথ ঐ এলাকার সাধারণ মানুষের, তাইতো চলাচল কারীদের দুঃখ কষ্টের কথা ভেবে ও চলাচলের পথ সুগম করতে চির বহমান,চলমান ৩০ ফুট গভীর জ্বল থেকে গড়ে তোলা ফুলজোর নদীর উপর প্রায় ৫০০ ফুট সাকো বাঁশ দিয়ে তৈরী করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।  খেয়া ঘাটের মাঝি কেফাত আলী।

সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের নিকট থেকে দেড় লক্ষ টাকা নিলাম তুলে প্রায় ৮০হাজার টাকা ব্যয় করে বাঁশের সাকো টি তৈরী করেছেন কেফায়েত আলী। আর এই বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ নিরবিঘ্নে পার হচ্ছেন।

রায়গঞ্জ বাজার ও উপজেলা সদর আসা যাওয়ার সোজা পথ তাই তো প্রতিদিন দুর দুরন্ত থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ জয়ানপুর খেয়াঘাটের মাঝির তৈরি বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে চলাফেরা করছেন।

জানা যায়, উপজেলার  রায়গঞ্জ, ধানগড়া,জয়ানপুর, বেষ্টপুর, বেংঙনাই,তেগুরী, গংগা রামপুর, আটঘরিয়া, দরবস্ত,বাসুরিয়া,বেগমপুর, অপরদিকে  ঘুড়কা ইউনিয়নের জঞ্জালীপাড়া, নাঙলমোরা, কালীকাপুর,দাদপুর, সাহেবগঞ্জ গ্রামের মানুষসহ প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ  ঐ সাঁকো বেয়ে রাতদিন চলাফেরা করছেন।

বর্তমান সরকারের কাছে সচেতন মহল ও এলাকা বাসীর  দাবি ধানগড়া ইউনিয়নের জন গুরুত্বপূর্ণ জয়ানপুর খেয়াঘাটে ফুলজোর নদীর উপর একটি ব্রিজ। 

খেয়াঘাটের মাঝি কেফায়েত আলি বলেন,আমার বাবা এই খেয়া ঘাটের মাঝি ছিলেন। বাবা মারা যাওয়ার পর তিন বছর হলো আমি এই খেয়াঘাটের দায়িত্বে রয়েছি।
জেলা পরিষদ থেকে আমি প্রায় দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে এই ঘাটের ইজারা নিয়েছি।কেফায়েত আলী বলেন,ছোট বেলা থেকেই এই ঘাটের মাঝি হিসাবে আছি। সৃতি আর বাবার কর্মের প্রতি ভালোবাসায় আমি তিনবছর হলো এই ঘাটের ইজারা নিয়েছি।আমার তেমন একটা লাভ হয় না তার পরেও ভালোবাসায় এই দায়িত্ব পালন করে আসছি।তিনি আরো জানান,উর্ধতন মহলের কাছে আমার অনুরোধ আমাকে যেনো আবারো ইজারা দিয়ে বাবার পেশাটায় কাজের সুযোগ করে দেন।

এ বিষয়ে ধানগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর ওবায়দুর রহমান মাসুমের সাথে মোঠফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে জয়ানপুর খেয়াঘাটে নৌকা যোগে পারাপার হচ্ছে জনগণ, বিষয় টি আমি নজরে রেখেছি, উর্ধতন কর্মকর্তা দের সাথে কথা বলেছি জয়ানপুর ফুলজোর নদীর উপর ব্রিজ তৈরী হলে ধানগড়া ও ঘুড়কা উভয় ইউপির মানুষের মধ্যে এক সেতুবন্ধন তৈরি হবে এবং যোগাযোগের পথ সুগম হবে।


আরও পড়ুন