রুবির কুকর্মের ধারাবাহিক পর্ব (১)

একাধিক স্বামী পরিত্যাক্তা অজিফা খাতুন রুবি যেভাবে হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক

news paper

নিজাম উদ্দিন

প্রকাশিত: ২২-১০-২০২২ দুপুর ৪:১৬

445Views

অজিফা খাতুন রুবি ওরফে রুবি খাতুন একজন ভয়ংকার প্রতারক নারী। তিনি একাধিক স্বামী পরিত্যক্তা নারী,সাথে হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। কিন্তু কিভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর মিলেছে বিভিন্ন তথ্য সূত্র।

অজিফা খাতুন রুবি ওরফে রুবি খাতুন,  রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ী ইউনিয়নের বানিয়া পাড়া গ্রামের  কৃষক মোঃ আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। ছাত্রী জীবন থেকে একাধিক প্রেম উশৃংখল জীবন, বেপরোয়া চলাফেরার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের নেশা তার মধ্যে দেখা যায় বলে সূত্রে জানা যায়। ১৯৯৯ সাল এর পর থেকে কথিত প্রেমের ফাঁদে ফেলে সময় ভিন্নতায় একাধিক বিয়ে করেছেন। কিছুদিন  সংসার করার পরে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা পাকিয়ে ডিভোর্স চাইতেন এবং মামলার ভয় দেখিয়ে আদায় করতেন মোটা অংকের টাকা। 

এখান থেকেই তার প্রতারণার অর্থ উপার্জণ শুরু। এরমধ্যে তিনি রুবি খাতুন নামে রুবি ফুডস এন্ড বেভারেজ কোম্পানি নামে সারাদেশে ডিলারশিপ নিয়োগের মাধ্যমে অগ্রিম অর্থ আদায়ের মাধ্যমে প্রায় কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।এরপর মেসার্স রুবি এন্টারপ্রাইজ এন্ড কনস্ট্রাকশন ফার্ম কোম্পানি খুলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তার কনস্ট্রাকশন ফার্ম হতে অন্যন্যা কনস্ট্রাকশন ফার্মের সহিদ অংশীদারী চুক্তি ভংঙ্গ করে সেখানে ও তিনি প্রতারণা করে। অন্য এক সূত্রে জানা যায় প্রতারণার টাকায় তিনি বিলাসী জীবন যাপন করে আসছে। অভ্যান্তীন যোগাযোগ ক্ষেত্রে প্রতারণার টাকায় তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম,ঢাকা ক্সবাজার যাতায়াত করেন বিমানে। রুবির বর্তমানে ৮ম নাম্বার একজন স্বামী রয়েছে তিনিও এক প্রতারক। অনুসন্ধানে জানা যায় তার কথিত স্বামী চট্টগ্রামের একজন সুনামধন্য প্রকৌশলীর চেয়ারে বসে ছবি তুলে নিজের নামে চালিয়ে দিচ্ছে যে তিনি ওই প্রকৌশলী। রুবির স্বামী তার নিজ ফেইসবুকে প্রকৌশলীর চেয়ারে বসা একটি ছবি  আপলোড করে লেখেন,চট্টগ্রাম থেকে জরুরি কাজে ঢাকা যাচ্ছি অতি দ্রুত আবার কর্মস্থলে ফিরবো। 

রুবির প্রতারণার এক অনন্য দৃষ্টান্ত সে নিজেকে সমাজের উচ্চ শিক্ষিত এমনকি হাইকোর্টের একজন এডভোকেটও পরিচয় দিয়ে চলছেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি মধ্যমিক পাশও না। অথচ তার পরিচয় পর্বে ও তার ব্যবসায়িক প্যাডে এডভোকেট ব্যবহার করেন।রুবি খাতুন তার নাম পরিবর্তন করে ওজিফা খাতুন (রুবি) নামে ভুয়া ন্যাশনাল আইডি কার্ড ব্যবহার করেন সেখানে তার পিতার নামও পরিবর্তন করেন।কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যায় ডাটা বেজে এই আইডির কোন অস্তিত্ব নে।

সূত্রে জানা যায় জজ কোর্টের আইনজীব পরিচয় দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা এছাড়াও বিভিন্নভাবে বিভিন্ন উপায়ে আত্মসাৎ করেছেন কোটি টাকা।
অজিফা খাতুন রুবি ওরফে রুবি খাতুন তিনি যে অনৈতিকভাবে, জোর দোস্তি , আত্মসাৎ ও ভুয়া পরিচয়ের মাধ্যমে অসৎ অর্থ উপার্জ

ন করেছেন দেখা যায় এর বিপরীতে বিভিন্ন থানায় একাধিক জিডি ও মামলাও হয়েছে তার নামে। অধিক মামলা থাকার শর্তেও তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন মুক্ত বাতাসে ধরাছোঁয়ার বাহিরে। 

কথিত রুবি বান্দরবান  নাঈক্ষংছড়ি উপজেলায় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ ভাগিয়ে নিয়ে চট্টগ্রামের নাঈক্ষংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের হয়ে ১৮ ই মার্চ ২০১৯  সালে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের নির্বাচনও করেছে। যে নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছিলো। পরবর্তীতে তার কুকীর্তি ও জালিয়াতি বিভিন্ন স্থানীয় পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হলে নাঈক্ষংছড়ি আওয়ামী লীগের  পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। নাঈক্ষংছড়িতে বসবাস করা অবস্থা সেখানে ও করেছে একাধিক ব্যক্তির সাথে প্রতারণা। বিদেশে নেওয়ার কথা বলে নাঈক্ষংছড়ির কয়েকটি পরিবার কে করেছ সর্বসান্ত সাধারণ জনগণের দৌড়ানি খেয়ে ঢাকা এসে আবারও প্রতারণা শুরু করেন। রুবি ফুড নামে একটি কোম্পানি খুলে ডিলারশিপ দিয়ে সেখানেও প্রতারণা করে শতশত ভুক্তভোগীদের সাথে। 

ভুয়া পরিচয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার বিষয়ে জানতে চাইলে এডভোকেট মোঃ সাইদুল ইসলাম শামস বলেন, ৪৯৪ ,৪০৬ ও ৪২০ ধারায় তাকে আইনের আওতায় আনলে তার ৭ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

প্রতারক অজিফা খাতুন রুবির বিষয় আরও খোঁজ নিলে জানা যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা শ্যামলী এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকেও নিজের বাড়ি আছে বলে এক ডুবাই প্রবাসীর সাথে প্রেম করে বিয়ে করে পরবর্তীতে সেই প্রবাসীর সঙ্গেও বিবাহ বিচ্ছেদে করে হাতিয়ে নিয়েছে তার নাঈক্ষংছড়ির বাড়িটি পরবর্তীতে সেই প্রবাসীও দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। 

এবিষয়ে রুবির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বলেন আমি এখন ব্যস্ত আছি। পরবর্তীতে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি


আরও পড়ুন