গফরগাঁওয়ে কাশফুলের সৌন্দর্য দেখতে ছুটছেন দর্শনার্থীরা

news paper

নূর মোহাম্মদ ইয়ন, গফরগাঁও

প্রকাশিত: ১০-১০-২০২২ দুপুর ১২:২৭

499Views

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের বুক ও অনাবাদি বালুচরে ছেয়ে গেছে কাশফুল। ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য গড়ে উঠেছে অস্থায়ী পর্যটন কেন্দ্র। প্রতিদিন জেলা-উপজেলা থেকে কাশফুল দেখতে আসে শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করাও। এরমধ্যে অনেকেই নিজের প্রিয় মানুষটিকেও নিয়ে আসেন কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। ঋতু বৈচিত্র্যের এই দেশে ‘ঋতুর বৈচিত্র্য’ অনুভব করতে গ্রামবাংলার প্রকৃতির কোনো বিকল্প নেই। যদিও দিন দিন সেই বৈচিত্র্য কমে যাচ্ছে।
 
শীত এবং বর্ষাকাল স্পষ্টভাবে বোঝা গেলেও অন্যান্য ঋতুর বৈচিত্র্য খুব একটা দেখা যায় না। তবে নদ-নদীর চর এলাকা, বিরানভূমিতে কাশফুল ফুটলেই বোঝা যায় শরৎ এসেছে। নদের এপাড়ে গফরগাঁওয়ের প্রাণকেন্দ্র বা গফরগাঁও শহর আর শহর থেকে একটু উত্তরে ব্রহ্মপুত্র নদ আর নদের পরেই বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চরাঞ্চল লক্ষণীয়। এসব চরাঞ্চলে বছরের এই সময়টায় কাশফুলের শুভ্রতায় ছেয়ে যায়। কাশফুল ফুটলেই বোঝা যায় ঋতুর পরিবর্তন ও শরতের সৌন্দর্য। এ সময় আকাশে ভাসতে থাকে খণ্ড খণ্ড সাদা মেঘ। কখনো দেখা যায় ঝকঝকে নীলাকাশে ছোপ ছোপ সাদা মেঘের ভেসে বেড়ানো। 
 
সরেজমিন নদের চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার সালটিয়া ও চরআলগী ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের চর এলাকাসহ বিভিন্ন অনাবাদি বালুচরে দোল খাচ্ছে কাশবন।এই কাশবন যেন প্রকৃতির সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছে। নদের পাড়জুড়ে সাদা মেঘ যেন মাটি স্পর্শ করছে আর বাতাসে ঢেউ তুলছে কাশফুল। নদের দুই পাড়ের দীর্ঘ এলাকা শুধু কাশফুলের শুভ্রতা। এদিকে, কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এই সময়ে অনেকেই ঘুরতে আসেন নদের পাড়ে। কাশফুলের সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা যায় অনেককেই। 
 
উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদতীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা জামাল মিয়া বলেন, প্রতি বছর শরতে আমাদের এই নদের পাড়ে প্রচুর কাশফুল ফোটে। কাশফুলের সাদা রংয়ে চারপাশ ছেয়ে যায়। চমৎকার লাগে দেখতে। নদের পাড়ে অনেক লোকজন আসেন ঘুরতে।
 
দর্শনার্থী আশিক মাহমুদ বলেন, প্রকৃতির সৌন্দর্যের কোনো তুলনা হয় না। এই কাশফুল প্রকৃতির বুকে ভিন্ন রকম সৌন্দর্য এনে দেয়। কাশফুল দেখলেই বোঝা যায় শরৎ এসেছে।
 
কাশবনে ঘুরতে আসা গফরগাঁও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তাহমিনা তামান্না বলেন, কাশবনে ঘুরতে এসে অনেক ভালো লাগছে এই প্রকৃতির সৌন্দর্য সামনে থেকে উপভোগ করতে পারছি। নতুন নীল রংয়ের শাড়ি পরে এসেছি, তাতে একটা উৎসব উৎসব মনে হচ্ছে। প্রকৃতিতে যে শরৎ এসেছে, তা কাশফুল না ফুটলে বোধ হয় টের পাওয়া যেত না। শরতের সৌন্দর্যই কাশফুল।
 
কাশবনে ঘুরতে আসে আরেক দর্শনার্থী সামিয়া আক্তার বলেন, প্রকৃতিতে শরৎ আসে নতুন রূপ নিয়ে। আর কাশফুল শরতের রূপের মধ্যে অন্যতম। আকাশে ভেসে বেড়ায় সাদা খণ্ড খণ্ড মেঘ। মেঘের ফাঁক গলে দেখা যায় স্বচ্ছ নীলাকাশ। আর ভোরে হালকা শিশির এবং মাঝেমধ্যে হালকা কুয়াশাভাব জানান দেয়  শীত আসার বেশি দেরি নেই।

আরও পড়ুন