বাঘায় ৮ টাকার নাপা বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়
প্রকাশিত: ৪-৭-২০২১ বিকাল ৬:৪৪
রাজশাহীর বাঘায় করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি হঠাৎ করে বেড়ে গেছে সর্দিজ্বর ও কাশি। অনেকেই ভর্তি হচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পরিচিত প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন রোগীরা।
বাঘায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। সেই সাথে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে সর্দিজ্বরের প্রকোপ। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। করোনাকালীন সর্দিজ্বরের প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ডাক্তাররা প্যারাসিটামল গ্রুপের নাপা ওষুধ লিখে থাকেন। কিন্তু ওষুধ কোম্পানির (প্যারাসিটামল) নাপা ওষুধের সরবরাহ হঠাৎ করে কমে যাওয়ায় বাঘায় ফার্মেসিগুলোতে বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা পাতা। মূলত এক পাতা নাপা (প্যারাসিটামল) ওষুধের দাম ৮ টাকা।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলা সদরের কচি ফার্মেসি, রিদওয়ানুল্লাহ ফার্মেসি, ফারিয়া ফার্মেসি, দরগাহ ফার্মেসি, সাগর ফার্মেসি ও বঙ্গবন্ধু চত্বরের জননী ফার্মেসি, স্বপন ফার্মেসি, ইসতেহাক ফার্মেসি, সিটি ফার্মেসি, মা মেডিসিন কর্নার ও মেডিসিন কর্নারে নাপা (প্যারাসিটামল) পাওয়া যায়নি। এমনকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ ফার্মেসিগুলিতেও পাওয়া যায়নি নাপা ট্যাবলেট।
বাঘা বাজারের মাজার গেটের সামনে শাহদৌলা ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে আসা আমোদপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের (৬৩) সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এই ফার্মেসি থেকে গত সপ্তাহে ৮ টাকা পাতা নাপা কিনেছি ১২ টাকায়, আজ কিনলাম ১ পাতা নাপা ১৫ টাকায়।
এ ব্যাপারে শাহদৌলা ফার্মেসির মালিক আব্দুল আলীম জানান, গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নাপা ট্যাবলেট সাপ্লাই নেই। বাইরে থেকে কিনে আনি তাই নাপা ১৫ টাকা পাতা বিক্রি করছি।
এই নাপা (প্যারাসিটামল) উপজেলার মফস্বল বাজারগুলোর ফার্মেসিতে ২০-২৫ টাকা পাতা বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
বেক্সিমকো ফার্মার বাঘা উপজেলার বিক্রয় প্রতিনিধি জুয়েল রানা (৪ জুলাই) মুঠোফোনে বলেন, চাহিদা বেশি হওয়ায় গত ৭ দিন ধরে ঘাটতি পড়েছিল। তবে গতকাল শনিবার থেকে সব দোকানে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়েছে। বাজারে এখন আর নাপার (প্যারাসিটামল) কোনো ঘাটতি নেই।
এ বিষয়ে এরিয়া ম্যানেজার আমির হোসেন মুঠোফোনে বলেন, কোম্পানি থেকে সরবরাহের কোনো কোমতি নেই। চলমান লকডাউনেও কোম্পানির গাড়ি কোথাও চলাচলে বিঘ্ন ঘটেনি। তাই বাজারে নাপার (প্যারাসিটামল) ঘাটতি পড়ার কোনো কারণ নেই।
বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাসেদ আহমেদ বলেন, করোনাকালীন সময়ে বাঙালির যে অবস্থা, নাপা (প্যারাসিটামল) যার প্রয়োজন সে কিনেছে আর যার প্রয়োজন নেই সেও কিনে বাড়িতে জমিয়ে রাখছেন। তাছাড়াও ওষুধ কোম্পানি চাহিদামতো তৈরি করে। করোনাকালে চাহিদা বেশি হওয়ায় সরবরাহ করতে পারছে না বলে আমার মনে হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা চামেলি বলেন, এ ব্যাপারে আমার তেমন কিছু জানা নেই। তবে কোনো ফার্মেসি অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয় করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
(বাজারে নাপার দাম বেশী কেন? জনসাধারণের প্রশ্ন? আসছে আগামী পর্বে...)