মনোহরগঞ্জে সরকারের লাখ লাখ টাকার ল্যাম্পপোস্ট অকেজো
প্রকাশিত: ২৪-৮-২০২২ দুপুর ১:২৭
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যে ‘গ্রাম হবে শহর’ এই স্লোগানকে বাস্তবায়ন করতে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলাকে আলোকিত করতে শত শত সৌর আলোর ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
জানা যায়, প্রতি আলোর সৌর ল্যাম্পপোস্ট সরকারের খরচ হয় ৬০-৭০ হাজার টাকা। আলোর সৌর ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয় উপজেলা সর্বস্তরের জনগণের উপকারার্থে, অন্ধকারে সড়কে কোনো দুর্ঘটনা যেন না ঘটে। হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা-মসজিদ ও মন্দিরে চুরি ডাকাতি যে কোনো দুরর্ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সৌর আলোর ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়। নিম্নমানের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার কারণে ল্যাম্পপোস্ট অকেজো হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কিছু দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি সরকারের লাখ লাখ টাকা দুর্নীতি করলেও দেখার কেউ নেই। মনোহরগঞ্জ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আলোর সৌর ল্যাম্পপোস্ট অকেজো হয়ে আছে। উপজেলা সড়কে কয়েকটি আলোর ল্যাম্পপোস্ট অকেজো হয়ে আছে। উপজেলা পরিষদের বাউন্ডারি ওয়ালের ভেতরে ১৭টি ল্যাম্পপোস্ট অকেজো হয়ে আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসার সামনে দুটি, উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসার সামনে দুটি, উপজেলা শহীদ মিনার সামনে একটি, পুকুর ঘাটলায় দুটি, পুকুরপাড়ে দুটি, শাপলা ভবনের সামনে দুটি, মসজিদের সামনে একটি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ল্যাম্পপোস্ট অকেজো।
মনোহরগঞ্জ খোদায়ভিটা সিএনজি স্ট্যান্ড ল্যাম্পপোস্ট, মনোহরগঞ্জ সরকারি স্কুল এন্ড কলেজ গেটের পাশে পুকুর পাড়ে ল্যাম্পপোস্ট, মনোহরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় শহীদ মিনারের সামনে ল্যাম্পপোস্ট, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় তাজুল ইসলাম ভবনের সামনে ল্যাম্পপোস্ট, বিদ্যুৎ অফিস সড়কে ল্যাম্পপোস্ট, উপজেলা ভূমি অফিসের সামনের ল্যাম্পপোস্ট, মনোহরগঞ্জ আলিম মাদ্রাসা গেট ও বাজারের দক্ষিণের ব্রিজের সামনের ল্যাম্পপোস্ট, মনোহরগঞ্জ বাজার পুরাতন ডাকবাংলা সামনে ল্যাম্পপোস্, মনোহরগঞ্জ সিএনজি স্ট্যান্ড নতুন ব্রিজের সামনের ল্যাম্পপোস্ট অকেজো।
এছাড়া শান্তির বাজার মার্কেটের সামনে ল্যাম্পপোস্ট, পোমগাঁও গ্রামে ল্যাম্পপোস্ট, হাসনাবাদ, লক্ষণপুর, বিপুলাশার, নাথের পেটুয়া, খিলা, মৈশাতুয়া, ঝলম, উওর ঝলম, সরসপুর, বাইশগাঁও ১১টি ইউনিয়নে প্রায় ১০০টি ল্যাম্পপোস্ট নষ্ট অকেজো হয়ে আছে।
সরজমিনে দেখা যায়, একই জায়গায় দুটি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয় অনেক জায়গায়। এতে সরকারের লাখ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, অনেক ল্যাম্পপোস্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। তিন বছরের গ্যারান্টি দিয়েছে কোম্পানি। যেগুলো নতুন বসানো হয়েছে, ওইগুলা মেরামত করা হবে।