দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার হাতেই দুর্নীতি তদন্তের ভার

news paper

শাহিনুর রহমান সোনা, রাজশাহী ব্যুরো প্রধান

প্রকাশিত: ৬-৮-২০২২ দুপুর ৩:৫৪

8Views

রাজশাহীতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) উপ-পরিচালক পাট-বীজ কার্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ও সিবিএ নেতা হারুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। পরে তা রাজশাহীর স্থানীয় ও বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।
 
পরবর্তীতে প্রভাবশালী এই সিবিএ নেতা হারুনের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তের ভার দেয়া হয় আরেক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা বিএডিসি রাজশাহীর যুগ্ম-পরিচালক জুলফিকার আলীর হাতে। এ নিয়ে বিএডিসিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এই কর্মকর্তা যদি তদন্ত করেন, তাহলে হারুন অনায়াসে পার পেয়ে যাবেন বলে আশংকা করছেন তারা। 
 
তদন্ত সূত্রে জানা যায়, বিএডিসি পাট-বীজ অফিসের ডিহিউমিডি ফায়ার-এর ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার কাজের পাট-বীজের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ও সিবিএ নেতা হারুন ও তার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। আবার ওই দুর্নীতির তদন্তভার পাওয়া জুলফিকার আলী তৎকালীন সময়ে পাট-বীজের উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নিয়েছেন এ কাজের টাকার ভাগ।
 
অপরদিকে, রেলগেট সংলগ্ন বীজ বিপণন অফিসের ১৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা মার্কেটিংয়ের কাজের সময়ও জুলফিকার আলী মার্কেটিংয়ের উপ-পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং এখানেও মোটা অংকের টাকা ভাগ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই জুলফিকারের নিজ জেলায় জামায়াতের নেতা বলে তিনি বেশ পরিচিতি। তার ছত্রছায়ায় হারুন সিন্ডিকেট এ অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন বলে ভুক্তভোগী সূত্র নিশ্চিত করেছে। 
 
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএডিসিসির  যুগ্ম-পরিচালক জুলফিকার আলী বলেন, আমি কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি করিনি এবং এ অনিয়মের সাথে কোনোভাবেই জড়িত নই। আপনি অফিসে এসে আমার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে দেখতে পারেন।
 
সিবিএ নেতা হারুনের অভিযোগের তদন্তের বিষয়ে তিনি বলেন, তদন্ত নিয়ম অনুযায়ী করা হবে আর বিএডিসি হেড অফিসের সংস্থাপন শাখা থেকে আমাকে এ তদন্তভার দেয়া হয়েছে, যা আমি সঠিকভাবে পালন করব বলে আশা রাখছি।
 
বিএডিসি হেড অফিসের সংস্থাপন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন