মাথা গোঁজার ঠাঁই চায় আলী-আয়েশা দম্পতি

news paper

এম.এ.হান্নান মিয়া, কমলনগর

প্রকাশিত: ২৪-৬-২০২২ দুপুর ৩:৪৬

54Views

লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলায় ৯নং তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চরপাগলা গ্রামে জরাজীর্ণ বসতঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছে অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধার পরিবার। ভাঙা ঝুপড়িঘরে একটু বৃষ্টি হলেই পানির ফোঁটায় বিছানা ভিজে যায়। ভেজা বিছানায় বৃদ্ধা স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন বৃদ্ধ আলী হোসেন।

জানা গেছে, উপজেলার ৯নং তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মজিদ মাঝি বাড়ির মৃত শামসুল হকেকের ছেলে আলী হোসেন (৭০) তার বৃদ্ধা স্ত্রীসহ মোটামুটি ভালো আশ্রয়স্থলের অভাবে বহু বছর ধরে জরাজীর্ণ বসতঘরে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন। বৃদ্ধ আলী হোসেন একজন অসহায় লোক। কোনোভাবে মানুষের সহযোগিতা নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। বসতভিটা ছাড়া তার নিজের কোনো জমি নেই। 

তার ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। তারা সবাই যে যার সংসার নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করে। বর্তমানে বৃদ্ধা আলী হোসেনের বসতঘরখানা খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। বসতঘরের আংশিক ভাঙা। পুরাতন টিন, খড়, নারিকেলের পাতা ও পলিথিন দিয়ে ঢাকা। বর্ষার সময় ঘরের ছাউনি থেকে পানি পড়ে বাঁশ, খুঁটি, বিছানাসহ সবকিছু ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। একটু বন্যা হলেই ঘরটি পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

ঝড়-বন্যা হলে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয় বৃদ্ধ আলী হোসেন ও তার বৃদ্ধা স্ত্রীকে। এ অবস্থায় ওই বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধা খুবই মানবেতরভাবে জরাজীর্ণ বসতঘরে জীবনযাপন করছেন।

বৃদ্ধ আলী হোসেনের স্ত্রী বৃদ্ধা বিবি আয়েশা জানান, আমি একজন গরিব অসহায় মহিলা। আমার স্বামী দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করত। বর্তমানে শারীরিক অসুস্থতার কারণে কোনো কাজকর্ম করতে পারে না। আমার স্বামীর পৈত্রিক জমির ওপর অতি পুরাতন এই ছোট ঘরে খুব কষ্টে বসবাস করছি। বর্ষাকালে ঘরে পানি পড়ে। এজন্য সারারাত ঘরের এক কোনায় জেগে রাত কাটাতে হয় আমাদের। আর এই ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে বেশি করে অসুস্থ করে দিচ্ছে আমাদের। আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় ঠিকমতো ওষুধ কেনা হয় না আমাদের।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ভাঙা ঝুপড়ি নিয়ে বেশ চিন্তিত আমরা। কারণ, রোদ-বৃষ্টি কোনো মৌসুমেই ঠিকমতো থাকতে পারি না। আশ্রয়স্থল যদি ঠিক না থাকে, তাহলে দিন-রাত পার করা খুব মুশকিল। জীবনযাপন করার জন্য মোটামুটি ভালো আশ্রয়স্থলের একটি বসতঘর আমাদের খুব প্রয়োজন। স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানের কাছে বারবার একটি ঘরের জন্য বলা হলেও আজ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি।


আরও পড়ুন