গলাচিপায় জমিসংক্রান্ত পূর্বশত্রুতার জের ধরে স্কুলশিক্ষকের হামলার শিকার অসহায় পরিবার
প্রকাশিত: ২৪-৬-২০২২ দুপুর ১১:১৯
পটুয়াখালীর গলাচিপার কল্যাণ কলস কালীবাড়ী ৫নং ওয়ার্ডে গত রোববার (১৯ জুন) রাত ৮টার দিকে স্কুলশিক্ষক কর্তৃক অমানবিক হামলার শিকার হয়েছেন মো. আলমাচ খালিফা (৫২) এবং তার পরিবারের সদস্যরা।
হামলার ঘটনায় মো. আলমাচ খলিফা বাদী হয়ে গলচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৩৫৪/৫০৬/(২)/৩৪ দঃবিঃ ধারা মোতাবেক ৪ জনকে আসামি করে একটি সিআর মমামলা দায়ের দায়ের করেন।
আসমিরা হলেন- মো. ওহাব হাওলাদার মাস্টার (৫৫), পিতা মৃত আলতাফ হাওলাদার, মো. জিহাদ হাওলাদার (২৫), মো. সিহাব হাওলাদার (২০) এবং মো. ফোরকান খলিফা (৬০), পিতা মৃত আজহার খলিফা। বাদী-বাদী উভয়ের বাড়ি একই গ্রামে। ঘটনাটি ঘটেছে কল্যাণ কলস কালীবাড়ী বাজারের ১নং আসামির দোকানের সামনে। ওহাব মাস্টার বতর্মানে উত্তর কল্যাণ কলস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত এবং তার স্ত্রী মহিলা ইউপি সদস্য।
ভুক্তভোগী আলমাচ সাংবাদিকদের জানান, মহিলা ইউপি সদস্যের স্বামী মোহাম্মদ ওহাব মাস্টার আমাকে ডেকে বাজারে নিয়ে গেলে সেখানে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক কিছু গুণ্ডা-মাস্তান ডেকে আমার ওপর হামলা করার জন্য তৈরি করে রাখে। আমি বাজারে গেলে জিজ্ঞাসা করে জায়গায় কাঁটা দিয়েছ কেন?
এই কথা বলে ৮ থেকে ১০ জন মিলে আমার ওপর অমানবিক হামলা চালায়। আমাকে লক্ষ্য করে দা দিয়ে আমার মাথার ওপর কোপ দিলে আমি প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করি। ধারালো অস্ত্রের কোপটি আমার কপালের ডান পাশে লেগে কেটে যায় এবং আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। লোকজন আমার ডাক-চিৎকার শুনে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আমাকে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
তিনি আরো জানান, আমার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। মাস্টার বলে- আমি খুবই ক্ষমতাবান লোক, আমার ছেলে একজন সেনাবাহিনীর সদস্য। এ কথা বলেও আমাকে বিভিন্ন হুমকি দেয়। আমি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরও ওহাব মাস্টার ও মহিলা ইউপি সদস্য আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। আমার জানের কোনো নিরাপত্তা নেই। আমি আদালতের কাছে সঠিক বিচার পাওয়ার জন্য মামলা করেছি। আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই। আমার ওপর হামলাকারীদের যেন বিচার হয়, তার জোর দাবি জানাচ্ছি।