স্বপ্নের পদ্মা সেতুকে ঘিরে উপকূলীয় অঞ্চলে পাল্টে যাবে পুরোনো চেহারাও
প্রকাশিত: ২৩-৬-২০২২ রাত ১০:১৫
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে ২৫ জুন শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বাঙালির স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এখন স্বপ্নের পদ্মা সেতু কেবল উদ্বোধনের অপেক্ষায়। ফলে এক সময়ের অবহেলিত বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে সুন্দরবন বেষ্টিত উপকূলীয় অঞ্চল কয়রা তথা দক্ষিণাঞ্চলবাসী তাদের ভাগ্য উন্নয়নের আশায় বুক বেঁধেছেন।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরপরই উন্মুক্ত হবে কয়রাসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সড়কপথে রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ। সেই সঙ্গে খুলে যাবে সবকটি বাণিজ্যিক পথ। কয়রায় সুন্দরবন কেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্র নদীর তীরে গড়ে ওঠা বিসিক শিল্প নগরীসহ দক্ষিণাঞ্চলের সকল পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে।
১৯৭৫ পরবর্তী সময়ের অবহেলিত কয়রাবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশসহ চিরঋণী হওয়ার কথা জানিয়েছেন কয়রার সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক নেতারা।
কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকু বলেছেন,১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পরে বাঙালি জাতির আরেকটা আনন্দ বিজয় উৎসব পালন করতে যাচ্ছে আগামী ২৫ জুন। এই উৎসব হলো, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্জন পদ্মা সেতু। আওয়ামী লীগ কোনো শক্তির কাছে জিম্মি নয়, আওয়ামী লীগের শক্তি এ দেশের জনগণ। জনগণ যাদের ক্ষমতার উৎস, তাদের অন্য কোনো শক্তির কাছে জিম্মি হতে হয় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন বাঙালি জাতি কারও কাছে মাথা নত করতে পারে না। শেখ হাসিনা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে জীবন বাজি রেখে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। শেখ হাসিনা আছেন বলেই বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন-অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। যাদের এই উন্নয়ন সহ্য হয় না, তারাই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী। যতোই ষড়যন্ত্র করুক, দেশ বিরোধীদের কোনও ষড়যন্ত্র সফল হবে না।তিনি আরও বলেন, একাত্তরে পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনী ও হায়েনাদের পরাজিত করে যে জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে, সেই জাতির কাছে কোনও ষড়যন্ত্রকারীই সফল হবে না। টিংকু আরও বলেন, কে কী বললো, তা নিয়ে শেখ হাসিনা ভাবেন না। শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নয়, তিনি বিশ্বনেতা। দেশে-বিদেশে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে কিন্তু পারেনি। কারণ আওয়ামী লীগ কখনও বিদেশি শক্তির ওপর ভরে কর চলে না। আওয়ামী লীগের শক্তি হলো দেশের জনগণ। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দেশের মানুষ ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই আবারও প্রধানমন্ত্রী করবেন ইনশাল্লাহ।ভাগ্যোন্নয়নের ব্যাপারে টিংকু বলেন, বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পরে যে সকল রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করেছে তারা পদ্মার পশ্চিমপাড়ের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের বিষয়টি নিয়ে কখনোই ভাবেননি। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে দেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই দেশপ্রেমিকের সন্তান জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অবহেলিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করেছে। পায়রা বন্দর চালু করেছে, এখন পদ্মা ব্রিজও উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এতে করে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের ফলে খুলনা কয়রাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন হবে। পাল্টে যাবে পুরোনো চেহারাও।