টেস্ট ক্রিকেট কতটা ভালোবাসেন সেই প্রমাণ দেবেন বিজয়

news paper

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩-৬-২০২২ দুপুর ১২:০

7Views

চিত্রটা যেন নিয়মিত হয়ে যাচ্ছিল- মিরপুর স্টেডিয়ামে শুনশান নীরবতা, জাতীয় দল দেশের বাইরে, বাকিরা ছুটিতে; অথচ একাই অনুশীলনে এনামুল হক বিজয়। তার এই লড়াই আর শ্রম নিজেকে ফিরে পাওয়ার, আবার জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার। সে সময় সংবাদমাধ্যমকে বারবার বলতেন, টেস্ট ক্রিকেটই ধ্যানজ্ঞান তার। এই ফরম্যাটকে ভালোবাসেন হৃদয় দিয়ে। সেই টেস্ট দিয়েই আবার জাতীয় দলে ফেরার অপেক্ষায়।

ঘরোয়া ক্রিকেটে আলো ছড়িয়ে বাংলাদেশ দলে ডাক পেয়েছেন বিজয়। শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে স্কোয়াডে নাম ছিল। পরে ইয়াসির আলি রাব্বির চোটে টেস্টে নাম উঠেছে তার। এমনকি মুমিনুল হক আর নাজমুল হোসেন শান্তর অফ ফর্মে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে সুযোগ পাওয়ার দৌড়ে বেশ ভালোভাবে আছেন। সেই সুযোগ পেলে নিজে টেস্টের জন্য কতটা নিবেদিত, তারই প্রমাণ দিতে চান এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

সেন্ট লুসিয়ায় অনুশীলন শেষে এক ভিডিও বার্তায় বিজয় বলেন, ‘আসলে এটা সত্যি যে আমি সাদা বলে ডাক পেয়েছিলাম, আমি সাদা বলেই অনুশীলন করছিলাম কিন্তু মাথার মধ্যে সবসময়...। আমি নিজেও কয়েকবার বলেছি এবং বিশ্বাস করি যে, টেস্ট ক্রিকেটকে অনেক বেশি ভালোবাসি। এটা আমার ভেতরে অনেক বেশি প্যাশন কাজ করে। যখন সুযোগ পাব আমি অবশ্যই প্রমাণ করার চেষ্টা করব।’

যোগ করেন বিজয়, ‘আমি আট বছর পর জাতীয় দলে ডাক পেয়েছি টেস্টে, এটা আমার জন্য বড় সুযোগ। এখন নিজেকে প্রমাণ করার পালা, যে এটা আমি আসলে অনেক পছন্দ করি, আসলেই ভালোবাসি। আমি অনেক রোমাঞ্চিত, প্রসেসগুলো ফলো করব। অনেকদিন ধরে খেলে আসছি নতুন করে কোনকিছু পরিবর্তন করতে চাই না, প্রথম শ্রেণীতে যেভাবে আমি মন দিয়ে চিন্তা করেছি খেলতে চাই, দেশের জন্য সেটাই চেষ্টা করব।’

২৯ বছর বয়সী বিজয়ের বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে প্রায় এক দশক আগে। তবে সাকুল্য ৪টি টেস্ট খেলেছেন। ৯.১২ গড়ে যেখানে বিজয়ের করেছেন ৭৩ রান। শেষ টেস্ট খেলেছেন ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে। কাকতালীয়ভাবে বিজয় শেষবার সাদা পোশাকে খেলেছিলেন এই উইন্ডিজের বিপক্ষেই, উইন্ডিজের মাঠেই। আবার সেই উইন্ডিজ দিয়েও ফেরার ক্ষণ গুনছেন।

সুযোগ পেলে দেশের ক্রিকেটের জন্য অবদান রাখতে চান বিজয়, ‘আসলে আমি যেটা ভাবছি বা চিন্তা করছি আমি যদি সুযোগ পাই, আমি আমার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব যেন ভালো একটা সংগ্রহ স্কোরবোর্ডে দিতে পারি বাংলাদেশ দলের জন্য। ওখানে আমি খেলছি বা আরেকজন খেলছে, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দ্রুত উইকেট পড়ে যাওয়াটা থামানো থেকে শুরু করে ওখান থেকেই স্কোর মুভ করা থেকে শুরু করে ইচ এন্ড এভরিথিং ওই জায়গাটা গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য।’

দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরার নিয়ে বলেন, ‘এটাই আমার সাহস, এটাই আমার শক্তি। আমি মনে করি এটাই আমার বাড়তি সাহস যোগায় ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে যে, আমি নিজেকে একটা জায়গায় নিয়ে গেছি যেখানে এই জিনিসগুলো দেখলে বাড়তি বুস্টাপ বলেন বা আত্মবিশ্বাস আসে। অবশ্যই এটা আমার আমাকে সাহায্য করবে। এটা অবশ্যই বড় অভিজ্ঞতা আমার জন্য যে আমি এতদিন ধরে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলেছি।’ 


আরও পড়ুন