উলিপুরে শ্রমিক সংকট, প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধান কাটছেন কৃষকরা
প্রকাশিত: ১৫-৫-২০২২ দুপুর ১২:২৩
কুড়িগ্রামের উলিপুরে শ্রমিক সংকটে প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধান কাটছেন কৃষকরা। চলছে বোরো মৌসুম। শুরু হয়েছে গ্রামগঞ্জের ধান কাটার মহোৎসব। এর মাঝে লেগেই আছে থেমে থেমে বৃষ্টি। জমিতে জমে আছে পানি। সেখান থেকে ধান কাটতে তেমন শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। পেলেও পারিশ্রমিক গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ।
তাছাড়া শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে সময় লাগে বেশি। আবার একসাথে ধান কাটা শুরু হলে পাওয়া যায় না পর্যাপ্ত শ্রমিক। এতে বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নষ্ট হয়ে যায় উলিপুর উপজেলার কৃষকদের কষ্টার্জিত বোরো ধান। দ্রুত সোনার ফসল ঘরে তুলতে এবং শ্রমিক সংকট মেটাতে ধান কাটার মেশিন কম্বাইন হারভেস্টারের গুরুত্ব অপরিসীম। এতে শ্রমিক সংকট মেটানোর পাশাপাশি বোরো ধান উৎপাদনে খরচ কমবে কৃষকের।
বোরো ধানচাষি সুজন, মোন্নাফ, নুর মোহাম্মদ, মহুবর, ইউসুফসহ অনেকে বলেন, বর্তমান এখানে শ্রমিক সংকট এবং শ্রমিকের পারিশ্রমিক ও বেশি। থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ধান ঘরে আনা অনিশ্চত হয়ে যাচ্ছে। সে কারনেই হারভেষ্টার কম্বাইন মেশিন দিয়ে অল্প খরচে ধান মাড়াই ঝাড়াই করে অতি দ্রুত ঘরে নিতে পারছি। তারা বলেন, শ্রমিকেরা কা'টা প্রতি পারিশ্রমিক নিচ্ছে ৬শ টাকা তাও আবার শ্রমিক সংকট। অপরদিকে হারভেস্টার মেশিন ধান কাটতে কা'টা প্রতি নিচ্ছে ৩০০ টাকা। যা আমাদের একদিকে টাকা সাশ্রয় হচ্ছে অপর দিকে তারাতারি করে ধান ঘরে উঠাতে পারছি।
উপজেলার কৃষি উপ-সহকারী মোস্তফা কামাল জানান, খাদ্য চাহিদার বড় জোগান আসে এ উপজেলা থেকে। বছরের একটি ফসল বোরো ধান কাটতে গিয়ে শ্রমিক সংকটের কারণে হিমশিম খেতে হয় কৃষকদের। একসাথে ধান কাটার মৌসুম শুরু হওয়ার কারণে শ্রমিকের চাহিদা বেড়ে যায়। আর চাহিদার পাশাপাশি বেড়ে যায় পারিশ্রমিক। এতে বোরো ধান উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হয় এ উপজেলার কৃষকদের। তবে এই চিন্তায় অনেকটা লাঘব করেছে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
উপজেলার কম্বাইন হারভেস্টার চালক উজ্জল মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মেশিন দিয়ে খুব সহজেই মাড়াই ঝাড়াই করে ধান ঘরে তুলতে পারছে উপজেলার কৃষকরা। এই মেশিন দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় দুই থেকে তিন বিঘা জমির বোরো ধান কাটছেন বলে তিনি জানান।
এই আধুকি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১৫ লিটার তেল খরচ হয়। আর প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্যে মাত্র ৮২ টাকা। অথচ শ্রমিক দিয়ে কাটলে ৫ থেকে ৭ জন শ্রমিক সারাদিন এক বিঘা জমির ধান কাটতে পারেন। এই তিন থেকে চার বিঘা জমির ধান শ্রমিক দিয়ে কাটতে গেলে বিঘা প্রতি কৃষককে খরচ করতে হবে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। দূরত্ব ভেদে খরচ বেড়ে যায় আরও বেশি। এতে খরচও বেড়ে যায় ধান উৎপাদনে। তাছাড়া শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষক সঠিক সময়ে ধান ঘরে তুলতে পারেন না। ফলে প্রকৃতিক দুর্যোগের কারণে ধান নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য করোনার সময়ে শ্রমিক সংকট মেটাতে এবং দ্রুত বোরো ধান ঘরে তুলতে সরকার প্রতিটি মেশিনের ওপর ১৪ লাখ টাকা ভুর্তিকি প্রদান করে।
উপজেলার কম্বাইন হারভেস্টার চালক উজ্জল মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মেশিন দিয়ে খুব সহজেই মাড়াই ঝাড়াই করে ধান ঘরে তুলতে পারছে উপজেলার কৃষকরা। এই মেশিন দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় দুই থেকে তিন বিঘা জমির বোরো ধান কাটছেন বলে তিনি জানান।
এই আধুকি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১৫ লিটার তেল খরচ হয়। আর প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্যে মাত্র ৮২ টাকা। অথচ শ্রমিক দিয়ে কাটলে ৫ থেকে ৭ জন শ্রমিক সারাদিন এক বিঘা জমির ধান কাটতে পারেন। এই তিন থেকে চার বিঘা জমির ধান শ্রমিক দিয়ে কাটতে গেলে বিঘা প্রতি কৃষককে খরচ করতে হবে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। দূরত্ব ভেদে খরচ বেড়ে যায় আরও বেশি। এতে খরচও বেড়ে যায় ধান উৎপাদনে। তাছাড়া শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষক সঠিক সময়ে ধান ঘরে তুলতে পারেন না। ফলে প্রকৃতিক দুর্যোগের কারণে ধান নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য করোনার সময়ে শ্রমিক সংকট মেটাতে এবং দ্রুত বোরো ধান ঘরে তুলতে সরকার প্রতিটি মেশিনের ওপর ১৪ লাখ টাকা ভুর্তিকি প্রদান করে।
উলিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতি বছরই বোরো ধান কাটতে শ্রমিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করে এ উপজেলায়। কৃষকরা শ্রমিক সংকটের কারণে সময়মতো ধান ঘরে তুলতে পারেন না। এ কারণে বৃষ্টি ও অকাল বন্যায় কৃষকদের ধান নষ্ট হয়ে যায়। তবে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে স্বল্প খরচে মাড়াই ঝাড়াই করে খুব দ্রুত কৃষকরা ধান ঘরে তুলতে পারছেন। তিনি আরো বলেন, এমনিতেই শ্রমিক সংকট আবার শ্রমিকেরা কা'টা (৩ শতক) প্রতি পারিশ্রমিক নেন ৬০০ টাকা কিন্তু কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন কা'টা (৩শতক) প্রতি মুল্য নেন ৩০০ টাকা বা তার কম। তাতে করে কৃষকের অনেক সাশ্রয় হচ্ছে আবার দুর্যোগ কালিন সময়ে তারাতারি ধান ঘরে নিয়ে আসতে পারতেছে। তিনি বলেন আশা করি আগামিতে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনের ব্যাবহারের সুফল অনেক বৃদ্ধি পাবে।