রাতের আঁধারে বন কর্মকর্তার নাকের ডগায় দিয়ে চলছে কাঠ পাচার

news paper

মিরসরাই প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৯-৪-২০২২ দুপুর ৪:১৭

140Views

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পূর্বে রয়েছে রিজার্ভ ফরেস্টের গাছ। আর সেই গাছের প্রতি নজর রয়েছে বনখেকোদের। রাত নামলেই তৎপর হয়ে ওঠে কাঠখেকোরা। শুরু হয় অবাধে কাঠ পাচার। আর এই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে চট্টগ্রামের উত্তরের বারইয়ারহাট-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অংশ। উক্ত অংশের করেরহাট-বারইয়ারহাট-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের কয়লা থেকে করেরহাট বিট দিয়ে রাতের আঁধারে টাকার বিনিময়ে পাচার হচ্ছে ফরেস্ট রিজার্ভের গাছ। একটি অসাধু বনখেকো সিন্ডিকেট বন উজাড় করে মূল্যবান কাঠ পাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্নভাবে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কাঠ পাচারের মতো অপরাধ করে যাচ্ছে তারা।
 
জানা যায়, ফরেস্ট রিজার্ভের বন থেকে দিনের বেলায় বনখেকোরা এই সব গাছ কেটে পাহাড়ের ভিতরে নিদিষ্ট জায়গায় লুকায়িত রাখে। সন্ধ্যায় নামার সাথে সাথে গাছ গুলো প্রকারভেদে ট্রাক, মিনি পিকআপ বোঝাই করা হয়। পরে তা বন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে গভীর রাতে সময় সুযোগ বুঝে পাচার করা হয়। এ সুযোগে বন উজাড করে সাবাড় করে দিচ্ছে বনখেকোরা।স্থানীয়রা জানান, রাতের অন্ধকারে মীরসরাই উপজেলা ১নং করেরহাট ইউনিয়নের করেরহাট চেক পোস্ট উপর দিয়ে কাঠ, সামাজিক বনায়নের গাছ, বিভিন্ন ফলজ ও বনজ বাগান, রাবারসহ নানা মূল্যবান বনজ সামগ্রী পাচার হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া স্বল্প মূল্যে উদ্যোশে ছোট-মাঝারি বিভিন্ন প্রকারের গাছ কেটে রাতের আধাঁরে ইট ভাটা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হচ্ছে।
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন, প্রতিদিন রাতের আঁধারে কাঠ চোরাই সিন্ডিকেট করেরহাট বিট কর্মকর্তা ময়েন উদ্দিনকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন বনের কাঠ পাচার করছে। এর মধ্যে রয়েছে সেগুন, গামারি, সামাজিক বনায়নের কাঠ, বন বিভাগের কাঠ ও রাবারসহ বিভিন্ন চোরাই পণ্য। তারা বলেন, বনবিভাগের লোকেরাই বনখেকোদের কাছ থেকে মোটা অর্থ নিয়ে কাঠ পাচারে সাহায্য করছে। এই বিষয়ে অভিযুক্ত করেরহাট বিট কর্মকর্তা ময়েন উদ্দিন দৈনিক সকালের সময় প্রতিনিধিকে বলেন, করেরহাট বিট অফিসের আগে বিজিবি আছে তারা কি করছে বলে উল্টো প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। টাকা নেওয়া ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন গাড়ি থেকে ফ্রি ম্যান দিয়ে টাকা তোলা হয় তাদের বেতন দেওয়ার জন্য।
 
 করেরহাট রেঞ্জ কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন এলাহী বলেন, টাকার বিনিময়ে অবৈধ কাঠ পাচারের সাথে কোনো বন কর্মকর্তা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন