রাজারবাগ শরীফ সম্পর্কে দুদকের রিপোর্ট নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে : দুদক কর্মকর্তা

news paper

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৮-২-২০২২ রাত ১১:২

137Views

রাজারবাগ শরীফের মুখপাত্র ও সম্পাদক আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলমের সাথে গতকাল বিকেল ৫টায় এক টেলি-সাক্ষাৎকারে দুদক উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর সাহেব বলেন, রাজারবাগ পীরসাহেব ক্বিবলার সম্পদ সম্পর্কে কয়েকটি মিডিয়ায় যে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে তা আদৌ সত্য নয়। সম্পূর্ণ মিথ্যা। ৩০০০ একর জমি লিজ বা ৭০০০ একর জমি দখলের কোনো সূত্রই পায়নি দুদক। বান্দরবানে ৩০০০ একর জমি লিজের পরিবর্তে মাত্র ৩০০ একর লিজ নেয়া জমির খোঁজ পেয়েছে। তাও রাজারবাগ পীরসাহেব ক্বিবলার নিজের নামে নয়। মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ মাদ্রাসার নামে ১২টি দলিলে ২৫ একর করে মোট ৩০০ একর জমি লিজ নেয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য স্থানেও রাজারবাগ পীরসাহেব ক্বিবলার নামে কোনো ব্যক্তিগত সম্পদ পাওয়া যায়নি। বরং তা মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ মসজিদ-মাদ্রাসার নামে পাওয়া গেছে, যা স্থানীয় এলাকাবাসী মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ মাদ্রাসায় দান করেছেন। গতকাল কয়েকটি মিডিয়ায় দুদকের বরাতে রাজারবাগ শরীফ সম্পর্কে প্রচারিত অসত্য তথ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে দুদক উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর সাহেব সম্পাদক মাহবুব আলমকে এসব কথা বলেন।

এদিকে, কিছু মিডিয়ায় অসত্য ও অপবাদ দেয়ার প্রেক্ষিতে রাজারবাগ দরবার শরীফের মুখপাত্র, সম্পাদক মাহবুব আলম এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে কি জঘন্য মিডিয়া ক্যু হচেছ তার জ্বলন্ত প্রমাণ দুদকের প্রকাশ করা ৩০০ একর জমিকে ৩০০০ একর জমির লীজ বলে প্রচার করা। আর লীজ নেয়া জমি যদি হাজার একরও হয় তাহলেই বা অসুবিধা কি? এটা তো সরকারি নিয়ম মেনেই করা হয়েছে।

অপরদিকে, কারা জমি দখল করে রেখেছে, অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে কিনা সেটা বলার অধিকার রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান দুদকের। কিন্তু দুদক ৩০০ একর লীজ নেয়া জমির বাইরে কিছু খুঁজে পেল না অথচ অপপ্রচারকারী ও ষড়যন্ত্রকারী একটি মহল যারা মিডিয়ার নামে কলঙ্ক তারা ফলাও করে প্রচার করলো ৭০০০ একর জমি দখল করে রাখা হয়েছে। এসব বক্তব্য শুধু অসত্য অপপ্রচারই নয় বরং চরম মানহানিকর, বেআইনি, দুদককে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল এবং রাষ্ট্রকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্র।

রাজারবাগ দরবার শরীফের মুখপাত্র সম্পাদক মাহবুব আলম আরো বলেন, দুদক সব ব্যাংক তন্ন তন্ন করে খুজেও রাজারবাগ পীর সাহেব ক্বিবলার নামে একটা ব্যাংক একাউন্ট খুজে পায়নি। কারণ বর্তমানে একমাত্র রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলাই একমাত্র ব্যক্তিত্ব যিনি পরিপূর্ণ শরীয়ত পালন করেন। ছবি তোলা হাজার হাজার হাদীছ শরীফে নিষিদ্ধ হওয়ায় তিনি কোনো ছবি তুলেননি। তাই তার কোনো ছবিই নেই। তার নামে কোনো ব্যাংক একাউন্ট, ভোটার আইডি বা পাসপোর্ট নেই।

সম্পাদক মাহবুব আলম বলেন, সম্প্রতি জামাতি মিডিয়া সিন্ডিকেট, মুক্তিযুদ্ধের পেেক্ষ শক্তিশালী রাজারবাগ পীর সাহেবের নামে পীর সিন্ডিকেট বলে অপপ্রচারের মাত্রা তুঙ্গে উঠিয়েছে। তারা বলেছে, পীর সিন্ডিকেট কাঞ্চনের বিরুদ্ধে ৪৯ টি মামলা দিয়েছে। অথচ কাঞ্চনের আপন মা-ই কাঞ্চনের বিরুদ্ধে ২টি মামলা দিয়েছে। কাঞ্চনও তার মায়ের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। এছাড়া কাঞ্চনের আপন বোন, বড় দুই ভাই, ভাগ্নে, মামাত ভাই এদের সাথেও ১৫টিরও মত মামলা হয়েছে। কাঞ্চন ১৯৯৮ সালে হত্যা মামলারও আসামী ছিলো। এছাড়া এক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, কাঞ্চন ছিলো মতিঝিল থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার নামে রাজনৈতিক মামলাও রয়েছে। এসব মামলা থেকে রক্ষা পেতে জামাতীদের যোগসাজসে কাঞ্চন সবার সহানুভূতি পেতে রাজারবাগ শরীফ থেকে তার নামে ৪৯টি মামলা দিয়েছে বলে প্রচার করছে। অথচ এই ৪৯ টা মামলার তালিকাও তারা দিতে পারবেনা। এদিকে কাঞ্চন সিআইডির ২/১ জন দুর্নীতিবাজ সদস্যকে ম্যানেজ করে রাজারবাগ শরীফের মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বিরুদ্ধে মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট করিয়েছে। সিআইডি তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছে রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তার বাড়ির পাশে নির্মিত ৩ শতক জায়গায় নির্মিত ৩ তলা বিল্ডিং দখলের জন্য কাঞ্চনের বিরুদ্ধে ৪৯টি মামলা দিয়েছে। সিআইডির এই রিপোর্ট যে কত নিকৃষ্ট মিথ্যাচার তা সিআইডি প্রধানসহ যে কেউ আসলে সাক্ষাত তার প্রমাণ পাবে। কারণ রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার বাড়ির পাশে ৩ শতক জায়গায় কোনো বাড়ীই নেই। এমনকি ৩ তলা কোনো বিল্ডিংই নেই।


আরও পড়ুন