পরিচ্ছন্ন রাজনীতি ও সৃজনশীল কাজের অদম্য প্রেরণা মিরাজুল ইসলাম

news paper

হারুন-অর-রশিদ, মঠবাড়িয়া

প্রকাশিত: ২-২-২০২২ বিকাল ৫:৫৬

116Views

যুগ শতাব্দীর কালের পরিক্রমা পেরিয়ে জানা অজানা পৃথিবীর অগণিত প্রান্তরে সুশাসক, জালিম ও প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিকরা যে যার কাজের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের পাতাকে সমৃদ্ধ বা কলংকিত করেছেন। তাদেরকে মানুষ দু’ভাগে বিভক্ত করে কাউকে পরম শ্রদ্ধায় আবদ্ধ আবার কাউকে প্রচন্ড ঘৃণার সাথে স্মরণ করছেন। যে ধারাবাহিকতার এ পর্যন্ত একটুও শ্লথ গতি হয়নি, কোনদিন হয়তো হবেও না।

দেশের চলমান প্রেক্ষাপটে সকল ব্যবসায় মন্দা গেলেও রাজনৈতিক ব্যবসায় অধিকাংশ নেতার ভাগ্যাকাশে যেন রাজটিকার ছোঁয়ায় অবৈধ সম্পদের দিনদিন আলাদিনের চেরাগের সন্ধান পেয়ে বসেছেন। জনগণের অধিকার হরণ ও কাজের নামে সরকারী অর্থ আত্মসাতের মধ্য দিয়ে তাদের জীবন যাত্রায় পিলে চমকানোর মতো পরিবর্তন এনেছেন। জনগণের কাছে এসব লুটপাট আর ধোঁকাবাজী প্রতিয়মান হয়েছে বিধায় গোপন ব্যালটের রায়কে তারা রীতিমতো ভয় পান। ওইসব প্রতারকদের বিশাল বহরে উত্তম কর্মের অনুশীলন দিয়ে আঘাত করে ভান্ডারিয়ার তারুণ্যের অহংকার ও দেশের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম জনগণের অধিকার আদায়ে যথাযথ ভুমিকা রাখছেন। যে সত্যের কিরণ পার্শ্ববর্তী উপজেলার ঝাপটে ধরা কুয়াশাচ্ছন্ন রাজনীতিকে বিদায়ের ঘণ্টা বাজাতে প্রেরণা যোগাচ্ছে।

ভোট এলেই তাদের মানুষের দ্বারে ধর্ণা দেয়া, হাত-পা ধরা শুরু হয়ে যায়। এস কল রংধনু মার্কা নেতাদের জনতার নেতা মিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত রাজনৈতিক বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা। যিনি তার জীবনের সবটুকু অর্জন, প্রজ্ঞা, আত্মত্যাগ, সহনশীলতা মানব সেবায় উৎসর্গ করার ঘোষণা দিয়েছেন। সে কারণে যেখানে তার উপস্থিতি সেখানেই জনস্রোত দৃশ্যমান হয়। হামলা-মামলা, পরশ্রীকাতরতার রাজনীতিতে তিনি বিশ্বাসী নন। তিনি তার প্রতিদ্বন্ধীকে ধরাশায়ী করেন এলাকার উন্নয়ন ও উত্তম আচরণ দিয়ে।

প্রত্যহ সুচারু কর্মশৈলী ও বিনম্র গণসংযোগ মানবতার মাঝে সহমর্মীতার এককালের হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধকে যেন জনতার মাঝে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এক কথায় প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবতার ঐক্যবদ্ধ বিন্দুতে রূপান্তর হয়ে মিরাজুল ইসলাম আজ এক অপ্রতিরোধ্য গতিবেগের নাম। সততা, ত্যাগ, সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি ও গণমানুষের নিখাদ ভালবাসার ঊর্মিমালাকে পুঁজি করে তার পদক্ষেপের সূচনা ও যবনীকা ঘটে। যে কারণে অধিকাংশ নেতার মনোবল, প্রজ্ঞা যেখানে অস্তিত্বের সংজ্ঞা হারিয়ে যায় সেখান থেকে এনে তার মহান কর্মযজ্ঞের প্রভাত ফেরী শুরু হয়। সকল শ্রেনি পেশার লোক তার সান্নিধ্যকে কর্মের একমাত্র প্রেরণা হিসেবে বিবেচনা করেন।

মিরাজুল ইসলাম বলেন, মাননীয় সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত এ অঞ্চলের সমাজ ব্যবস্থাকে উন্নয়নের মহা সড়কে সমাসীন করতে আমাদের যারা জনপ্রতিনিধিত্ব করছি তাদের নিজের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে অধিকতর ত্যাগ ও সততার মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে সত্যিকার জনতার কাতারে দাঁড়িয়ে তাদের সকল সুখ-দুঃখের ভাগিদার হতে হবে। পরিতাপের বিষয় এ বাণীটি আজ শুধুমাত্র ভোটের ময়দানেই সীমাবদ্ধ থাকায় জনগণ ও নেতার মাঝে যোজন যোজন দুরত্বের সৃষ্টি হয়েছে। আমি আল্লাহর কাছে প্রতিনিয়ত এই বলে ফরিয়াদ করি সর্বস্তরের মানুষের নিরেট ভালবাসা ও তাদের কাছে দেয়া প্রতিটি ওয়াদার বাস্তবায়নের মাঝেই যেন আমি ও আমার পরিবারের জীবনাবসান ঘটে।


আরও পড়ুন