চাল আটককে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ছাত্রদল নেতা আহত ব্যবসায়ীকে জরিমানা

news paper

এম রাসেল আহমেদ, ক্ষেতলাল

প্রকাশিত: ৩০-৯-২০২৫ দুপুর ৪:৩৫

13Views

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আটককে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বড়তারা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সোমবার রাত আটটার দিকে উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের পাঠানপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালের ক্রেতা সুমন হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বড়তারা ইউনিয়নের সাবেক সদস্য ও জামায়াত কর্মী খাইরুল ইসলামের ছেলে ব্যবসায়ী সুমন হোসেন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কিনে পাঠানপাড়া বাজারে তাঁর দোকানে মজুদ করেছিলেন। তিনি সরকারি বস্তা বদলে সাধারণ বস্তায় চাল ভরেন। সোমবার সন্ধ্যায় ওই ৩১বস্তা চাল ভুটভুটিতে করে অন্যত্র বিক্রির উদ্দেশ্যে নেওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন চাল আটক করেন।

এ সময় সাবেক ইউপি সদস্য মাসুদার রহমানের ইন্ধনে স্থানীয় লোকজন সুমনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছাত্রদল নেতা নুর ইসলাম সুমনের পক্ষ নিয়ে কথা বললে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে নুর ইসলাম আহত হয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রাত নয়টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ আল জিনাত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চালের ক্রেতা সুমন হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদল নেতারা আওয়ামী লীগের কর্মীদের দায়ী করছেন। ক্ষেতলাল উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি দেওয়ান এম.এ. হাসান অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট নেতা–কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলামকে হামলা করেছে।

অন্যদিকে বড়তারা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আনোয়ার হোসেন জিন্নাহ বলেন, মাসুদার রহমানের লোকজন চাল আটক করে এবং ছাত্রদল নেতা নুর ইসলামকে মারপিট করে। তবে সাবেক ইউপি সদস্য মাসুদার রহমান নিজেকে বিএনপি সমর্থক দাবি করে বলেন, জামায়াত নেতা খাইরুলের ছেলে সুমন সরকারি চাল বিক্রি করছিল। স্থানীয় লোকজন তাঁকে আটক করেছে। এতে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদল নেতা আহত হয়েছেন।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম  বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আটক নিয়ে বাজার এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল হয়। এতে ছাত্রদল নেতা আহত হয়েছেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। তবে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ আল জিনাত বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩১ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ক্রেতাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।


আরও পড়ুন