আবারো খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট

news paper

অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই

প্রকাশিত: ২৬-৯-২০২৫ বিকাল ৫:২

8Views

ভারি বৃষ্টিপাত, উজান ও পাহাড়ি ঢলের পানি ধেয়ে আসায় কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা বিপৎসীমার বাইরে চলে যায়। ফলে গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি পার্শ্ববর্তী কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশিত হচ্ছে। এছাড়া কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রেখে ২২০ থেকে ২২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি নদীতে অপসারিত হচ্ছে।
 
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, কয়েকদিন ধরে হ্রদ সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হ্রদে পানির উচ্চতা বিপৎসীমার উপর চলে যায়। ফলে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, সকাল ৮টায় কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা ছিল ১০৮ দশমিক ৮৬ ফুট মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। হ্রদে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল। 
 
প্রসঙ্গত, টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় গত ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টার পর বাঁধের ১৬টি গেইট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে হ্রদে পানির চাপ আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় ধাপে ধাপে গেইট খোলার পরিমাণ বাড়ানো হয়। গত ৭ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টায় সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ ফুট করে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি স্পিলওয়ে খুলে দেওয়া হয়েছিল। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৬৮ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশিত হয়েছিল। তবে হ্রদে পানির চাপ ধীরে ধীরে কমে আসায় বাঁধের গেইট খোলার পরিমাণ কমানো হয়। ৭ দিন খোলা থাকার পর গত ১২ আগস্ট স্পিলওয়ের ১৬টি গেইট পুরোপুরি বন্ধ করা হয়। 
 
এরপর ৯ দিন বন্ধ থাকার হ্রদে পানির উচ্চতা আবারও বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ২০ আগস্ট পুনরায় বাঁধের ১৬টি গেইট খুলে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে প্রায় ২০ দিন বন্ধ থাকার পর হ্রদে পানির উচ্চতা পুনরায় বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ১০ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টায় বাঁধের ১৬ জলকপাট সাড়ে ৩ ফুট করে খুলে দেওয়া হয়। এভাবে ৯ দিন বাঁধের জলকপাট খোলা থাকার পর পানির উচ্চতা কমে যাওয়ায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাঁধের ১৬ জলকপাট পুরোপুরি বন্ধ করা হয়। 
 
কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, স্পিলওয়ে দিয়ে পানি ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে কিনা তা বাঁধের পানি বৃদ্ধির ওপর নির্ভর করছে।

আরও পড়ুন