মাগুরায় কুইক রেডিওর আবিষ্কারক বিজ্ঞানী দিদার ইসলাম গ্রামের দুঃখী মানুষের বন্ধু
প্রকাশিত: ৮-৯-২০২৫ দুপুর ১:২৩
মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর গ্রামের কুইক রেডিওর আবিষ্কারক বিজ্ঞানী দিদার ইসলাম দুঃখী মানুষের বন্ধু হিসাবে ও এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নে সর্বদা ভূমিকা রেখেছেন , বেকারস্থ যুবকদেরও করেছেন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। দুইটা কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া ব্যক্তিকেও ব্যয়বহুল খরচে করিয়েছেন চিকিৎসা।
বিজ্ঞানী দিদার ইসলাম, যিনি ১৯৬৭ সালে মাগুরার হাজীপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন গর্বিত প্রাক্তন ছাত্র এবং হাজীপুর গ্রামের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি যশোর শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি (১৯৮৩) ও এইচএসসি (১৯৮৫) পরীক্ষায় যথাক্রমে ৬ষ্ঠ ও ৪র্থ স্থান অর্জন করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির পর তিনি মেডিকেল পড়ায় অনাগ্রহ বোধ করেন এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন। সেখানে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে যান।
তাঁর পিতা মোঃ আমিরুল ইসলাম এবং মাতা রওশন আরা। তাঁরা ০৭ ভাই-বোন, ৩ বোন ডাক্তার ২ ভাই ও ১ বোন ইঞ্জিনিয়ার এবং ১ বোন উকালতি পেশায় জড়িত আছে। তাঁর পিতা আমিরুল ইসলাম পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।
তিনি মাইক্রোইলেকট্রনিক্স ও নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে অসংখ্য প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেছেন, QWIKRADIO নামে CMOS প্রযুক্তির একক চিপ রেডিওর আবিষ্কারক। তাঁর ঝলমলে ক্যারিয়ারে যুক্ত হয়েছে ১৩টি মার্কিন পেটেন্ট।
তিনি বাংলাদেশের প্রথম R&D চালিত অ্যানালগ আইসি ডিজাইন কোম্পানি PowerIC Ltd. এবং দেশের বৃহত্তম রুফটপ সোলার কোম্পানি Solaric Ltd.-এর প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর উদ্ভাবন ও গবেষণা বাংলাদেশের শক্তি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
তার অসাধারণ সাফল্য শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা বিশ্বের জন্য অনুপ্রেরণা।তিনি বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, চীন ও সিঙ্গাপুরসহ বহু দেশে কাজ করেছেন।
তিনি ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিসহ বিভিন্ন দেশে কাজ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশে R&D ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যা সোলার এনার্জি এবং অ্যানালগ আইসি ডিজাইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বর্তমানে তিনি Solaric Ltd.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও।
বিজ্ঞানী দিদার ইসলামের এলাকার উন্নয়নেও রয়েছে সর্বোচ্চ ভূমিকা। তারা বলেন, গ্রামের মানুষ সহ আশপাশের এলাকার মানুষের চিকিৎসা সহ নানান ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন। তারা আরো জানান, নিজের সোলার কোম্পানিতে অসংখ্য বেকারোস্থ যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
দিদার ইসলামের বাড়ির কেয়ারটেকার মোঃ শাকিল আহমেদ জানান,
বিগত দিনে দুইটা কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া এক ব্যক্তিকে ব্যয়বহুল খরচে অপারেশন করার ব্যবস্থা করে দেন। পরবর্তীতে চিকিৎসার খরচ যোগানের জন্য একটি ইজি বাইক ক্রয় করে দেন।