ব্রয়লার ১৬৫, ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম চড়া

news paper

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৫-৯-২০২৫ দুপুর ১১:২৫

50Views

মাছ-মাংস, সবজি বা নিত্যপণ্য— কোনোটিরই দাম এখন সহনীয় পর্যায়ে নেই। ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম চড়া। পাঙাসও বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিতে। ব্রয়লার ১৬৫ টাকা, লেয়ার, সোনালী এবং দেশি মুরগির দাম আরও বেশি। সাপ্তাহিক ছুটির দিন আজ (শুক্রবার) সকালে রাজধানীর মিরপুরের মাটিকাটা বাজার ঘুরে বাজারদরের এ চিত্র পাওয়া গেছে। 

এই বাজারে সোনালী মুরগি ৩০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩২০-৩৪০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬০০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্থিতিশীল রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের বাজার। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০-৮০০ টাকা এবং ছাগল ও খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। 

ক্রেতারা বলছেন, ব্রয়লার মুরগি ছাড়া অন্য কিছু কেনার সুযোগ কমে যাচ্ছে। তাও আবার ব্রয়লারের দামও বাড়তি। 

নুরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ব্রয়লার মুরগি তো আগে আরেকটু কম টাকায় পাওয়া যেত, এখন ১৬৫ টাকা কেজি। প্রতিদিনের বাজার খরচ সামলানোই কষ্টকর হয়ে গেছে। দাম কমবে বলে আসি, কিন্তু কোনো পরিবর্তন দেখি না।

হাবিবুল বাশার নামের আরেক ক্রেতা বলেন, সবকিছুর দামি বাড়তি, সেখানে মুরগির দাম কম থাকবে সেটা আশা করি না৷ ব্রয়লার ছাড়া অন্য মুরগি কেনা কষ্টকর হয়ে যায়। দেখা যায়, পাকিস্তানি বা সেনালী মুরগি ১টার দামই হয়ে যায় ৩৬০-৩৭০ টাকা৷ আবার আকারেও ১ কেজি হয় না৷ সেই হিসাবে ব্রয়লারে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে। সেজন্য বাধ্য হয়েই কিনতে হচ্ছে। কারণ গরু বা খাসির মাংস তো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।

বিক্রেতারা বলছেন, দাম কম-বেশির ব্যাপারে পাইকার বা আড়তদাররা বলতে পারবেন৷ এক্ষেত্রে খুচরা দোকানিদের কোনো হাত নেই।

বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের হাতে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। পাইকারি বাজার থেকেই বেশি দামে আনতে হচ্ছে। খামারে খাবার ও উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। সেই কারণে খুচরা বাজারে দাম কমানো সম্ভব হচ্ছে না।

অন্যদিকে মাছের বাজারে আকারভেদে ইলিশ ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা কেজি দরে পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। 

একই বাজারের মাছ বিক্রেতা জামাল হোসেন বলেন, এই মৌসুমে জোগান ঠিক আছে, কিন্তু দাম এত বেশি যে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। যারা কিনছেন, তারা ছোট ইলিশেই সীমিত থাকছেন। 

আবার পাঙ্গাস কেজিপ্রতি ২০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। রুই মাছ আকারভেদে ৩৪০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট রুই ৩৪০, মাঝারি ৩৬০ ও বড় রুই ৩৮০ টাকা কেজি।

এদিকে ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম না কমায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা৷ তাদের দাবি, সাধারণত এই মৌসুমে বাজারে ইলিশের জোগান বাড়ে এবং দাম কিছুটা কমে আসে। কিন্তু এবার সেই চিত্র দেখা যাচ্ছে না। সবচেয়ে ছোট মাছও কেজিপ্রতি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা দাম থাকায় অনেক ক্রেতাই অসহায় বোধ করছেন। তারা বলছেন, ভরা মৌসুমেও যদি ইলিশ নাগালের বাইরে থাকে তবে স্বল্প আয়ের মানুষের পক্ষে এ মাছ কেনা কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। তবে বিক্রেতারা অবশ্য বলছেন, নদীতে আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়ছে না, সরবরাহ কম থাকায় দামও কমানো যাচ্ছে না।


আরও পড়ুন