সৈয়দ সামিউল হোসেন: হোটেল ইন্ডাস্ট্রির স্বপ্নবাজ এক তরুণ পেশাজীবী

news paper

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩-৯-২০২৫ বিকাল ৫:৫০

2368Views

ঢাকায় জন্ম নেওয়া এক স্বপ্নবাজ সফল তরুণের উপাখ্যানে আলোকপাত করব আজ। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি ঢাকাতে পেরিয়ে নিজেকে হসপিটালিটি জগতের এক সফল পুরোধা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অভিপ্রায় এল সেই তরুণের। ক্রমাগতভাবে নিজের পড়াশোনা, দক্ষতা ও জ্ঞান মারফত পূরণ করলেন সংশ্লিষ্ট সব শর্ত এবং যোগ্যতা। সময়ের পরিক্রমায় এখন সঠিক গতিপথেই আছে তার ক্যারিয়ার। বলছি সৈয়দ সামিউল হোসেন এর কথা। যিনি বর্তমানে ঢাকার গুলশানে অবস্থিত প্রথিতযশা তিন তারকা মানের বুটিক হোটেল বেঙ্গল ইন এর ফুড এন্ড বেভারেজ বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত। এই পদে আসীন হয়েছেন খুব তরুণ বয়সে। উল্লেখ্য, শিক্ষার্থী অবস্থাতেই ক্যারিয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা সামিউল এর ক্যারিয়ার গ্রাফ কিন্তু এই স্বল্প সময়েই উল্লেখ করার মত, একদম সুখপাঠ্য। ক্যারিয়ারের প্রারম্ভে কাজের সুযোগ আসে দেশের প্রাচীন পাঁচ তারকা হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও-তে; পর্যায়ক্রমে ঢাকায় সমাদৃত বেস্ট ওয়েস্টার্ন লা ভিঞ্চি হোটেল, বেস্ট ওয়েস্টার্ন ম্যাপল লীফ হোটেল, ট্রপিক্যাল ডেইজী এবং পার্ল হোটেল সহ আরও বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানে সফলতার সাথে কাজ করেন সামিউল।  

নিজের ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষা, দেশের হোটেল-রেস্টুরেন্ট তথা হসপিটালিটি খাতের সার্বিক অবস্থা, ক্ষেত্র বিশেষে উন্নতির উপায়, নতুন পরামর্শ-ভাবনা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সবিস্তারে কথা হয় তার সাথে। এ যাত্রায় চুম্বক অংশ তুলে ধরার প্রয়াস থাকল।

ক্যারিয়ারে নিজেকে কোথায় দেখতে চান? উত্তরে আত্মবিশ্বাস ঢেলে পড়ে সৈয়দ সামিউল হাসান এর কথাতে। নিজেকে উচ্চতম পর্যায়ে দেখতে চান, হতে পারে সেটা এফএন্ডবি ডাইরেক্টর কিংবা জেনারেল ম্যানেজার। তবে এই পদবী অবশ্যই দেশ বা বিদেশের পাঁচ তারকা হোটেলে এবং দ্রুততম সময়ে নিষ্ঠার সাথে পারফরমেন্স দেখিয়ে সর্বোচ্চ পদে আসীন হতে ইচ্ছুক তিনি।  

হোটেল বা হসপিটালিটি খাতে সফল পেশাজীবী হওয়ার সূত্র উন্মোচন করতে গিয়ে সামিউল বলেন- “এই সেক্টর খুব চ্যলেঞ্জিং এবং পরিবর্তনশীল। প্রতি মুহূর্তে বিভিন্ন নতুন বিষয়ের মুখোমুখি হতে হয়। কেননা অতিথিবৃন্দ নানান মানসিকতা ধারণ করেন। গেস্ট বা অতিথিকে সন্তুষ্ট  রাখাই হোটেলিয়ানদের মূলমন্ত্র। অতিথির যে কোন অভিযোগ হাসিমুখে বরণ করে সমাধান করা সফল ম্যানেজারের মুখ্য উদ্দেশ্য। পাশাপাশি, নিজেকে উপস্থাপন করতে হয় দৃষ্টিনন্দন রূপে, যেন আগত অতিথিদের মনে দাগ কাটা সম্ভবপর হয়। আধুনিক চিন্তা-চেতনা, মননশীলতা ও সমসাময়িক জ্ঞান সাফল্যের পেছনে অতীব গুরুত্বপূর্ণ।  

এই খাতের পেশাগত সাফল্য লাভে সুনির্দিষ্ট কী কী গুণ থাকতে হয়, সেসব নির্ধারণ করতে গিয়ে সৈয়দ সামিউল হোসেন বলেন- “সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনা, সময়ানুবর্তিতা, নিয়মিত কর্মপন্থা ঠিক করা, প্রতিদিনের কাজের পরিকল্পনা বজায় রাখা, ম্যানার বা সৌজন্য বহাল রাখা, সুন্দর বাহ্যিক অবয়ব ও উপস্থাপনা এবং ব্যক্তিগত হাইজিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। অতঃপর অধীনস্ত স্টাফদের নিয়মিত ব্রিফিং, হাইজিন- গ্রুমিং, কাজ আদায় করে নেওয়ার কলাকৌশল অত্যন্ত জরুরী বলেই মনে হয়।”


আরও পড়ুন