ইমামকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন গ্রামবাসী

news paper

আক্কেলপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩-৯-২০২৫ দুপুর ৪:৪১

24Views

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে  শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এক ইমামকে আক্কেলপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার ও গ্রামবাসী। ঘটনাটি বুধবার সকালে আক্কেলপুর পৌর এলাকার একটি গ্রামে ঘটেছে। 

আটক ইমাম মেহেদি হাসান (৩০) আক্কেলপুর পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম। 

পুলিশ ও শিশুটির পরিবার জানায়, মেহেদি হাসান মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি প্রতিদিন সকাল বেলা মসজিদের বারান্দায় দুই ব্যাচে ভাগ করে শিশুদের কোরআন শিক্ষা দেন। বুধবার সকাল আটটার দিকে ক্লাস শেষে সকল শিক্ষার্থীকে ছুটি দিয়ে বাড়ি যেতে বলেন মেহেদি হাসান। শুধু ওই শিশুকে বিশেষভাবে শিক্ষা দেওয়া হবে বলে তাকে থাকতে বলেন। এরপর তিন ওই শিশুকে মসজিদের পাশে তাঁর রুমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এসময় শিশুটি চিৎকার করার চেষ্টা করলে মেহেদি তাকে দশ টাকা দিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করে। পরে শিশুটি বাড়ি ফিরে ঘটনাটি মাকে জানালে তার মা গ্রামের কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ওই মাদ্রাসায় এসে ঘটনাটির কারণ জানতে চাইলে সে অস্বীকার করে। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় গ্রামবাসী তাকে মাদ্রাসার ভিতরে একটি কক্ষে তালা বদ্ধ করে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

শিশুটির মা বলেন, আমার মেয়ে প্রতিদিন সকাল বেলা আরবি পড়তে যায়। ওই হুজুর আমার মেয়ের সাথে যে খারাপ কাজ করেছে সেগুলো মেয়ে বাসায় এসে কান্না করতে করতে আমাকে জানায়। এ ঘটনায় আমি মামলা করেছি। তার বিচার চাই।

অভিযুক্ত ইমাম মেহেদি হাসান বলেন, বুধবার সাড়ে দশটার দিকে হঠাৎ বাচ্চার মা আর বাবা এসে আমাকে মারতে জুতা তোলে, আমি তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বলেন আমি নাকি বাচ্চাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছি। বিষয়টি সঠিক নয়।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয়রা আটকে রাখার খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। এঘটনায় শিশুটির মা বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও পড়ুন