সুশিক্ষা ও সৎচরিত্রে বেড়ে উঠুক শিক্ষার্থীরাঃ জেলা প্রশাসক
প্রকাশিত: ৩-৯-২০২৫ দুপুর ৪:৩৮
গোপালগঞ্জ জেলার সদর ও মুকসুদপুর উপজেলাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠান বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
‘জেলা প্রশাসন, গোপালগঞ্জ’-এর আয়োজনে এবং ‘জেলা পরিষদ, গোপালগঞ্জ’-এর সহযোগিতায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুগ্মসচিব, মান্যবর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান; অমিত দেবনাথ, নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ; প্রফেসর মোঃ ওহিদ আলম লস্কর, অধ্যক্ষ, গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজ; মোঃ আজহারুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপথ বিভাগ; স্বর্ণেন্দু শেখর মণ্ডল, নির্বাহী প্রকৌশলী, গণপূর্ত বিভাগ এবং মোছাঃ জ্যোৎস্না খাতুন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রুলী বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), গোপালগঞ্জ।
এতে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, সদর ও মুকসুদপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা, শিক্ষক-অভিভাবকসহ বিপুল সংখ্যক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জ সদর ও মুকসুদপুর উপজেলাধীন ৪২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির প্রথম স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীদের ফুলেল সংবর্ধনা জানানো হয়। পরবর্তীতে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে স্কুল ব্যাগ, খাতা, কলম, পেন্সিল, হাইলাইটার, ইরেজার, কাটার, পেন্সিল বক্সসহ শিক্ষা উপকরণ তুলে দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে বলেন—
"প্রাথমিক শিক্ষা হলো প্রতিটি শিশুর জীবনের ভিত্তি। এই পর্যায়ে অর্জিত সাফল্য ভবিষ্যতের সব অর্জনের ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে কাজ করে। আজ যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছে, তারা কেবল নিজেদের নয়, পরিবার, বিদ্যালয় এবং জেলারও গৌরব। কৃতী শিক্ষার্থীরা যেন সুশিক্ষা ও সৎচরিত্রের মাধ্যমে আলোকিত মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। শিক্ষা শুধু পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সত্য, নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের চর্চার মাধ্যমেই তা পূর্ণতা পায়। ভবিষ্যতে এই শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর।"
বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন—
"শিক্ষার্থীদের সফলতা সমাজ ও জাতির জন্য আশার আলো। কৃতী শিক্ষার্থীরা কখনোই থেমে থাকে না, তারা এক ধাপ থেকে আরেক ধাপ এগিয়ে যায়। আজকের এই অর্জন তাদের আগামীর পথচলার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। তবে শুধু ভালো ফল করলেই হবে না, শৃঙ্খলা, দায়িত্ববোধ এবং সততার চর্চা করতে হবে। পরিবার ও শিক্ষকরা যদি শিক্ষার্থীদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেন, তবে আগামী দিনে তারা কেবল মেধায় নয়, চরিত্রেও আদর্শ মানুষ হিসেবে দেশকে এগিয়ে নেবে।"
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষা উপকরণ তুলে দেন এবং তাদের ভবিষ্যতের সাফল্যের জন্য শুভকামনা জানান।