চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে সি ইউ এলামনাই সোসাইটি উত্তরার মানববন্ধন
প্রকাশিত: ৩-৯-২০২৫ দুপুর ৪:৪
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর উত্তরা শহীদ মীর মুগ্ধ মঞ্চে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটি এলামনাই সোসাইটি উত্তরা। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এ মানববন্ধনে সাবেক চবিয়ানরা অংশ নেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “গভীর ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। আমাদের শত শত সন্তানসম শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসী হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে। অনেকে এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছে।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন, উপদেষ্টামণ্ডলীর অনেকে সাবেক চবিয়ান, বিশ্বের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েরই সাবেক শিক্ষার্থী। কিন্তু সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের অনেক সাবেক চবিয়ানও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেননি। তাদের নীরবতা হতাশ করেছে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, চবির প্রো ভিসি, প্রক্টর ও একাধিক শিক্ষকও হামলার শিকার হয়েছেন। ক্যাম্পাসের ভেতর ও আশপাশে বসবাসরত শিক্ষার্থীরা এখনও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। প্রশাসনের ব্যর্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না বলেও তারা দাবি করেন।
বক্তারা জানান, রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়, কেবল সাবেক চবিয়ান হিসেবে বিবেকের তাড়না থেকে এবং অনুজদের প্রতি ভালোবাসা ও সহমর্মিতা থেকে তারা এ মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছেন।
মানববন্ধন থেকে উত্থাপিত দাবিগুলো হলো—
১. হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন ও দ্রুততম সময়ে রিপোর্ট প্রকাশ। ২. আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারকে বহন করতে হবে। ৩. ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান। ৪. চবিতে শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ। ৫. শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীকে সক্রিয় করা। ৬. স্থানীয় অধিবাসী ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে ভবিষ্যৎ সহিংসতা ঠেকাতে একটি নীতিমালা প্রণয়ন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, আহসানুল বারী, জাফরুল রানা, খাইরুল আলম, জি এম ফারুক স্বপন, আব্দুল মতিন, ওয়াকিলুর রহমান, মইনুল হোসেন, মহসিন আলম, আবদুস সবুর, জয়নাল আবেদীন, মুহাম্মাদ মেজবাহ উদ্দিন নাঈম, মুজাহিদুল ইসলাম, ড. ফয়জুল হক, সাংবাদিক কামরুজ্জামান বাবলু, জুয়েল মুহাম্মাদ জাকারিয়া, জিয়াউল করিম সোহেল, জনি আকন্দ, তানজিলা সাথী, তামান্না তাসমিয়া তুয়া সহ প্রমুখ।
বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে সারাদেশের প্রাক্তন চবিয়ানরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।