নড়াইলে ডাকাতিকালে গৃহকর্তাকে কুপিয়ে হত্যা, রায়ে পাঁচ ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড
প্রকাশিত: ২-৯-২০২৫ বিকাল ৫:২৪
নড়াইল সদর উপজেলায় ডাকাতির সময় গৃহকর্তাকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় পাঁচ ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক এলিনা আক্তার এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন নড়াইল সদর উপজেলার ধুড়িয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ মুন্সির ছেলে শাহিন মুন্সি, ভওয়াখালী গ্রামের মৃত্যু লালমিয়ার ছেলে আক্তারুজ্জামান বাবুল, সলেমানের ছেলে সেলিম হোসেন, ফেদী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম মৃধা ও মাগুরার খানপুর গ্রামের মৃত্যু মকবুল হোসেনের ছেলে তেজারত মোল্যা। রায় ঘোষনার সময় তেজারত মোল্যা আদালতের কাঠগোড়ায় উপস্থিত ছিলেন। বাকি চার সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি পলাতক রয়েছেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট তারিকুজ্জামান লিটু বিষয়টি করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৪ জুন রাতে নড়াইল পৌরসভার ভওয়াখালী এলাকার নির্মল পোদ্দারের বাড়িতে রাতে আসামিরা ডাকাতির উদ্দেশে ঢুকে বাড়ির সদস্যদের অস্ত্রের মুখে হাত পা-বেঁধে ফেলে। এ সময় নির্মল পোদ্দার ডাকাতদের কাছে থাকা ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হন।এ সময় ডাকাতরা দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত নির্মল পোদ্দার মারা যান। এ ঘটনায় নির্মল পোদ্দারের মেয়ে পলি পোদ্দার নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলায় মোট ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও জরিমানার আদেশ দেন। এছাড়া তিন আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন।