চৌগাছায় আগাম শিমচাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে
প্রকাশিত: ২-৯-২০২৫ দুপুর ১:৪৬
যশোরের চৌগাছায় প্রতি বছরই আগাম জাতের শিম চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তুলনামূলক খরচ বেশি হলেও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। তবে এ বছর দুদফা একটানা বৃষ্টিতে এই ফসল উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ১১০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে আগাম ইপসা ১ ও ২ জাতের শিম। ফুলসারা, সিংহঝুলী, পাতিবিলা, নারায়নপুর ও স্বরুপদাহ ইউনিয়নে আগাম জাতের শিম চাষ বেশি হয়েছে। অন্যান্য ইউনিয়নগুলোতেও বিচ্ছিন্নভাবে এর চাষ হচ্ছে।
ফুলসারা গ্রামের কৃষক সাকিব হোসেন, জগন্নাথপুর গ্রামের কৃষক আঃ রহিম দেড় বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছেন। গত জুলাই মাসে জমিতে আগাম জাতের শিমের বীজ রোপণ করেন। রোপনের ৪৫ দিন পর গাছে ফল আসতে শুরু করে। প্রায় ৬০ দিন পর গাছ থেকে শিম উত্তোলন করা শুরু করেন। চারা রোপণ, সেচ দেওয়া, সার প্রয়োগ, আগাছা দমন, কীটনাশক ও মাচা তৈরিসহ মোট ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমান বাজারে ১৩০-১৪০ টাকা দরে শিম পাইকারি বিক্রি করছেন।
কৃষক সাকিব হোসেন বলেন, ‘আমি ৩৩ শতক জমিতে শিম চাষ করেছি। প্রতি সপ্তাহে জমি থেকে ৪ মণ করে শিম তুলতে পারছি। বাজারে শিমের ভালো দাম পাচ্ছি। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ১থেকে দেড় লাখ টাকা লাভ করতে পারবো।’
স্থানীয় কৃষকরা জানান, ‘চৌগাছা কৃষি অফিস থেকে হাইব্রিড জাতের এই শিমের বীজ দেয়া হয়। এই শিমের ফলন অন্য শিমের চেয়ে বেশি হয়। কৃষকরা এই জাতের শিম চাষ করে বেশী লাভবান হচ্ছেন। একই সাথে এই শিম চাষে কৃষকদের দিনদিন আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসাব্বির হোসাইন বলেন, গ্রীষ্মকালীন শিম চাষে চৌগাছার কৃষক ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। তার কারনে প্রতি বছরই চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।