মদ বিক্রি না করায় জাবান হোটেলে ভাংচুরসহ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

news paper

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩১-৮-২০২৫ বিকাল ৫:৪৯

34Views

গাজীপুর টঙ্গীর একমাত্র ৩ তারকা খচিত হোটেল জাবানে নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর ভোর  বেলায় মদ বিক্রি না করায়  কর্মচারী ও সিকিউরিটি গার্ডকে মারধর করে ক্যাশ থেকে  টাকা ছিঁনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় স্থানীয় লোকজনের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। 
 
স্থানীয়রা  জানান, গাজীপুর  টঙ্গী স্টেশন রোডে আমতলায় অবস্থিত  জাবান হোটেলে  দেশ বিদেশের বিভিন্ন নামি-দামি বায়ার অবস্থানের কারণে সরকারের  রেভিনিউ বাড়ছে। পাশাপাশি এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৮শে আগষ্ট বৃহষ্পতিবার ভোর আনু:৫.০০ ঘটিকায় জাবান হোটেলের কর্মচারীকে মারধর ও ক্যাশ টাকা লুটপাটের ঘটনা ঘটে। 
 
জাবান কর্তৃপক্ষ জানান, উত্তরা থেকে ৬ জন পুরুষ ও একজন নারী বৃহস্পতিবার দিবাগত ভোর রাতে তাদের হোটেলে এসে এলোমেলো কথা বলতে  থাকে। এ সময় তারা নাস্তা খাওয়ার কথা বলে হোটেলের ১০ তলার রেস্টুরেন্টে জোড়পূর্বক উঠে যায়।সেখান থেকে তারা ৯ তলার বার কাউন্টারে জোরপূর্বক ঢুকে গিয়ে  ১ বোতল বিদেশি  মদ চায়, হোটেল কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময়ের পর মদ এবং ৬জন পুরুষের সাথে একই রুমে ১জন নারীকে নিয়ে অবস্থানের অস্বীকৃতি জানান। এর পর পরই তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ম্যানেজার আজিজ ও অন্যান্য কর্মচারীদের বেদম মারধর করে ক্যাশ থেকে এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এঘটনায় জাবান হোটেলের আইটি ম্যানেজার মোঃ রাকিব হাসান বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মোঃ রিমন (৩৮) পিতা অজ্ঞাত, 
আজাদ (২৯)পিতা : মোখলেস মিয়া,সাং চিলাউড়া,থানা : জগন্নাথপুর জেলা : সুনামগঞ্জ। বর্তমান, সাং -শান্তিবাগ থানা : রামপুরা।  জাহিদ (৩২),সুব্রত (৩০) রোজা (২৫) সর্ব পিতা অজ্ঞাত, থানা- সুনামগঞ্জ, জেলা সিলেট ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনের নামে  সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করেন। 
একাধিক সুত্রে জানা যায়, জাবান হোটেলের ম্যানেজার ও কর্মচারীদের মারধর করে লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়া লোক গুলো সিলেটের বাসিন্দা হলেও তারা যমুনা ফিউচার পার্কে এক সাথে ব্যবসা করে। তারা প্রায়ই  গুলশান, বনানী ও উত্তরার বিভিন্ন মদের বার গুলোতে নিয়মিত আসা যাওয়া করে। ঐ সব বারে গিয়ে  তারা প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত মদ পান করে।রাতের বেলায় বারে মাতালামি করে। এ ছাড়াও তারা রাতের বেলায় এ দিক সেদিন ঘুরে বেড়ায় এবং কারণে অকারণে মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে। 
 
এ বিষয়ে অভিযুক্ত  মোঃ রিমনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,ঐ দিন তারা কয়েকজন সকালের নাশতা খাওয়ার জন্য টঙ্গীর জাবান হোটেলে যায়। জাবান হোটেলে আর কখনো নাস্তা খেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৩/৪বছর  আগে একবাব খেয়েছেন। নাস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে জাবান হোটেলের পরিচালক সায়মন বলেন,তাদের রেস্টুরেন্টে সকালের নাস্তা বিক্রি করা হয় না। তারা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে এসেছে, হোটেল স্টাফদের মারধর করে হোটেলের রিপোটেশন খারাপ করতে  এসেছে। ঐ এলাকার জনমনে প্রশ্ন উঠেছে যেই হোটেলে নাস্তা বিক্রি করা হয় না, সেখানে কেন কি উদ্দেশ্য তারা নাস্তা খেতে গেলেন। ৯ তলা থেকে 
টাকা ছিঁনিয়ে নেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে মোঃ রিমন বলেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী টাকা ছিঁনিয়ে নিবো কেন? তিনি আরো বলেন, তারা ও  টঙ্গী পূর্বথানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

আরও পড়ুন