মহেশখালীতে ডাকাত সর্দার মঞ্জুর পুলিশের হাতে আটক
প্রকাশিত: ২৮-৮-২০২৫ দুপুর ১২:৫
কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপের কুখ্যাত ডাকাত সর্দার মঞ্জুরকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৭ আগস্ট) ভোরে উপজেলার শাপলাপুর পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক মঞ্জুর কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়া পূর্ব পাড়া গ্রামের বাহাদুরের ছেলে।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঞ্জুরুল হক জানান, "এএসআই উত্তম ও এএসআই নাছিরের নেতৃত্বে পুলিশ মঞ্জুরকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, অপহরণ, ডাকাতি, চুরি ও জলদস্যুতাসহ ১১টি মামলা রয়েছে।"তিনি আরও বলেন, "মঞ্জুরকে ধরতে দীর্ঘদিন চেষ্টা চলছিল। অবশেষে সফল হয়েছি। বাকি জলদস্যু ও অপরাধীদের ধরতে স্থানীয়দের সহযোগিতা প্রয়োজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ‘মঞ্জুর ডাকাত’ নামে পরিচিত এই আসামি বঙ্গোপসাগরে বিশাল জলদস্যু বাহিনী গড়ে তোলে। টেকনাফ, বাঁশখালী, পেকুয়া ও কুতুবদিয়ার জলদস্যুদের সঙ্গে সমন্বয় করে মাছ ধরার ট্রলারে নিয়মিত ডাকাতি চালাতো সে। এসব লুটপাট করা মালামাল মঞ্জুরের কাছে জমা রাখা হতো, পরে তা বিক্রি করে ভাগাভাগি করা হতো দস্যুদের মাঝে।
শুধু সমুদ্রেই নয়, কুতুবজোমের ঘটিভাঙ্গা ও কক্সবাজারের সমিতি পাড়ায় বাড়ি নির্মাণ করে জলদস্যুদের ঘাঁটি বানিয়েছে মঞ্জুর। সেখান থেকেই সমুদ্রে ডাকাতি ও হত্যার প্রস্তুতি নিতো তার বাহিনী। এর আগে ২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল নাজিরারটেক উপকূলে একটি ট্রলার থেকে হাত-পা বাঁধা ১০ জন জেলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায়ও মঞ্জুর বাহিনীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। সেই ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলো সে। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়ায় স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি নেমে এসেছে।