মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জে উল্টো পথে অবাধে চলে গাড়ি, অতিষ্ট জনজীবন
প্রকাশিত: ২৩-৮-২০২৫ দুপুর ৪:১
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় উল্টো পথে অবাধে গাড়ি চলাচল এখন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই এই গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে বিপরীতমুখী গাড়ির চাপ বাড়ছে, ফলে তৈরি হচ্ছে ভয়াবহ যানজট এবং বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।
সরেজমিনে দেখা যায়, কোম্পানীগঞ্জের যানজট নিরসন ও সড়কের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ডিভাইডার দেওয়া হয়েছে। সড়কের দুপাশে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড ও বাস গাড়ি পাকিং করার কারণে কাজে আসছে না ডিভাইডার। এদিকে ডিভাইডারের দুই দিক দিয়েই উল্টো পথে চলাচল করে সিএনজি ও অটোরিকশা । যার কারণে প্রতিদিনই সৃষ্টি হয় যাজনট। ঘটে ছোটখাটো দূর্ঘটনা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে মহাসড়কের যাত্রী ও এ্যাম্বোলেন্স বহনকারী রোগীরা।
স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কে , সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল এমনকি ছোট বাস ও ট্রাক উল্টো পথে দ্রুতগতিতে ছুটে চলে। এতে পথচারী ও নিয়ম মান্যকারী চালকরা পড়ছেন মারাত্মক ঝুঁকিতে।
বাসস্ট্যান্ডের এক ব্যবসায়ী বলেন, “প্রতিদিন দেখি উল্টো পথে গাড়ি যাচ্ছে। এতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে, যে কোনো সময় ঘটতে পারে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের মতো বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ট্রাফিক পুলিশ মাসে দু একবার দেখা যায়। হাইওয়ে পুলিশও মাঝে মধ্যে আসে। কিন্তু পুলিশকে খুব একটা কঠোর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।”
সড়ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোম্পানীগঞ্জ এলাকার এই সমস্যার সমাধানে ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি জোরদার করার পাশাপাশি স্থানীয় চালকদের সচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে। একই সঙ্গে উল্টো পথে গাড়ি চালানোর জন্য কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) ফারুক হোসেন জানান , " জনবল সংকটের কারণে সবসময় নজরদারি সম্ভব হয় না। তবে শিগগিরই অভিযান বাড়ানো হবে এবং নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান "।
মিরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পারভেজ আলী বলেন, অধিকাংশ চালকরা আইন মানে না। খেয়াল খুশিমতো গাড়ি চালায়। যার কারনে যানজট সৃষ্টি হয়। এই যানজট নিরসনে প্রতিদিন দুপুরে হাইওয়ে পুলিশের একটি পার্টি কাজ করে। উল্টো পথে গাড়ি চালালে তাঁদের আইনী ব্যবস্হা নেওয়া হবে।